সোমবার নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) ৭ অক্টোবর পর্যন্ত আরিয়ান খানকে হেফাজতে রাখার অনুমতি পেয়েছে। ফোন চ্যাটের মধ্যে আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের যোগসাজশের ইঙ্গিত মিলেছে। সেই তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখতে তাঁকে হেফাজতে রাখতে চায় তারা।
সূত্রের খবর, আরিয়ান খানকে এনসিবি হেফাজত থেকে এজলাশে তোলা, ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় নানা পোশাকে দেখা যাচ্ছে। সেই ছবিও ধরা পড়েছে ক্যামেরাম্যানদের লেন্সে। জানা গেল, শাহরুখ খানের বাড়ি থেকে কয়েক সেট জামাকাপড় দিয়ে গিয়েছেন ছেলেকে। কিন্তু এনসিবি কর্তারা আরিয়ানকে গ্রেফতার করে ‘নেতা, অভিনেতা, কার ছেলে দেখা হবে না’ বলে যে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, বাস্তবেও তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। খাবারদাবারের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন না আরিয়ান। বাড়ি থেকে আলাদা খাবার আনাতে গেলে আদালতের বিশেষ অনুমতি আদায় করতে হবে। আরিয়ান এনসিবি মেস থেকে পাঠানো খাবারই খাচ্ছেন।
তাঁকে, বাকিদের সঙ্গে বসিয়ে টানা জেরা করে যাচ্ছেন এনসিবি গোয়েন্দারা। একাধিক রিপোর্টে বলা হচ্ছে, তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন আরিয়ান। প্রথমে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন বলে শোনা যাচ্ছিল। তবে পরে নিজেকে খানিকটা সামলে নিয়ে সব প্রশ্নেরই নাকি জবাব দিচ্ছেন তিনি। এমনকী চার পৃষ্ঠার একটি লিখিত বিবৃতিও দিয়েছেন প্রশ্নকর্তাদের। গত চার বছর ধরে মাদক নেওয়ার কথা নাকি স্বীকারও করেছেন।
এনসিবি সোমবার আদালতে জানায়, আরিয়ান ও বাকি দুজনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে ‘মারাত্মক, চমকে দেওয়ার’ মতো তথ্য মিলেছে, যাতে আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানের স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে।
এই অভিযানের সূত্র ধরে আরও বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হতে পারে। সেদিনের প্রমোদতরীর মালিকরাও এনসিবির সন্দেহের তালিকার বাইরে নেই।
মাদক মামলায় আরিয়ান খানের গ্রেপ্তারের পর বলিউডের অনেকেই তাঁর বাবা-মা শাহরুখ, গৌরী খানের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সলমান খান, তাঁর বোন আলভিরা শাহরুখের বাসভবনে গিয়ে সমবেদনা জানিয়েছেন। পূজা ভাট, হনসল মেহতা, সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি, সুনীল শেট্টির মতো বেশ কয়েকজন সোস্যাল মিডিয়ায় শাহরুখ, গৌরীর প্রতি সমব্যথী বলে জানিয়েছেন।
সোমবার শাহরুখের বাসভবন মন্নত-এ সীমা খান, মাহিপ কপূররা যান তাঁদের কাছের বন্ধু গৌরীকে সমবেদনা, স্বান্তনা দিতে। হৃত্বিক রোশনের প্রাক্তন স্ত্রী সুসান খান ইনস্টাগ্রামে মাদককাণ্ডে অভিযুক্ত আরিয়ানকে ‘ভালো ছেলে’ বলেছেন। সাংবাদিক শোভা দে-র ইনস্টাগ্রাম পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় সুসানের দাবি, এটা আরিয়ানের ব্যাপারই নয়, আসলে বলিউডের লোকজনকে নিশানা করে ডাইনি খোঁজার (witch hunting) অভিযান চলছে। ‘মাদক সংস্কৃতি’র অভিযোগ তুলে টার্গেট করা হচ্ছে বলিউডকে।