অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

লিবিয়ার গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদি, বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত জামিল আহসান


জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ থেকে লিবিয়া বরখাস্ত । জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি সুজান রাইস ভাষণ দিচ্ছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ থেকে লিবিয়া বরখাস্ত । জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি সুজান রাইস ভাষণ দিচ্ছেন।

মেজর জেনারেল জামিল আহাসান , লিবিয়ায় এক সময়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন । তিনি লিবিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নিবিড় দৃষ্টি রাখছেন। তিনি বলছেন যে যদিও মোয়াম্মার গাদ্দাফি অতীতে পশ্চিমের চাপের কাছে নতি স্বীকার করেননি কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি সম্পুর্ণ ভিন্ন । বিয়াল্লিশ বছর আগে গাদ্দাফি যখন ক্ষমতায় এসছিলেন , তখন ভিন্ন পরিস্থিতি ছিল । তিনি এক ধরণের ইসলামি শাসন ব্যবস্থার সঙ্গে সমাজতন্ত্রের সম্মিলন ঘটান। কিন্তু এখন তার নিজের জনগণের এই অভুত্থান দমন করতে তিনি সক্ষম হবেন বলে মনে হচ্ছে না। কাজেই এবার আন্তর্জাতিক চাপ সহ্য করাটা তার পক্ষে কঠিন হবে।

মেজর জেনারেল জামিল আরও বলেন যে ব্যক্তিগত ভাবে গাদ্দাফি যে রকম নির্মম ধরণের মানুষ তাতে মিশর কিংবা তিউনিশিয়ার মতো তিনি সহজেই নতি স্বীকার না ও করতে পারেন । সে ক্ষেত্রে গোষ্ঠিগত ভাবে বিভক্ত সেনাবাহিনী, দুটি ভিন্ন পক্ষ যেহেতু নিচ্ছে , সেহেতু সেখানে গৃহযুদ্ধ বাঁধতে পারে। তিনি অব্শ্য জোর দিয়েই বলেন যে শেষ পর্যন্ত জনগণের এই আন্দোলনকে কোন ক্রমেই দমন করা সম্ভব হবে না মি গাদ্দাফির পক্ষে। সেখানে গণতান্ত্রিক কাঠামোর অনুপস্থিতিতে মোয়াম্মার গাদ্দাফির ক্ষমতাচ্যূতির পর , সে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে সেখানকার প্রবাসী নেতারাই নের্তৃত্ব গ্রহণ করতে পারেন এবং গণতন্ত্র চর্চা সেখানে দ্রুত চালু করা সম্ভব।

XS
SM
MD
LG