যুক্তরাস্ট্রের সামরিক অভিযানে ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যু, এর প্রভাব-প্রতিক্রিয়া এবং এরই আলোকে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক, এ সব বিষয় নিয়েই ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির গভর্ণমেন্ট ও পলিটিক্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ ভয়েস অফ আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে ওসামা বিন লাদেনের বিরুদ্ধে এই অভিযানে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাফল্যটার একটা বড় প্রতীকি মূল্য আছে। আর এই প্রতীকি মুল্য হচ্ছে যে আল ক্বায়দাকে এই ঘটনা সংগঠন হিসেবে অনেক দূর্বল করে তুলেছে। অবশ্য আল ক্বায়দা এখন ঐ অবস্থানে নেই , যেমনটি ২০০১ সালে ছিল। আল ক্বায়দা এখন আর একতাবদ্ধ কোন সংগঠন ও নয়। একক সংগঠন হিসেবে গত দশ বছরে আল ক্বায়দা দূর্বল হয়ে পড়েছে , ছোট ছোট সেল এ বিভক্ত হয়েছে । কাজেই বিন লাদেনের মৃত্যু আল ক্বায়দাকে নিসেন্দেহে দুর্বল করেছে। এটাকে ড রীয়াজ ইতিবাচক দিক হিসেবেই দেখছেন। তা ছাড়া এই পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে যে নতুন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে , তা থেকেও ইতিবাচক দিক আসতে পারে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের আন্তরিকতা ও বিশ্বস্ততা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে সেটা তেমন নতুন কিছু নয়। গত ছয় বছরে পাকিস্তানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আল ক্বায়দা নেতা ধরা পড়েছে। আর এই ঘটনা প্রমাণ করে যে পাকিস্তানের ভেতরে এর সমাজের মধ্যে এই আল ক্বায়দার প্রতি এক ধরণের সমর্থন আছে এবং সেই সমর্থন আল ক্বায়দা ব্যবহার করছে । তবে এ্ই সমর্থন সরাসরি সরকারের তরফ থেকে আসছে কী না , সেটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে প্রশ্ন যেমন উঠছে , পাকিস্তানকে এই সব প্রশ্নের মোকাবিলা করতে হবে।