অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতের দৃষ্টিতে এশিয়ার কূটনৈতিক চিন্তা ধারা


ভারতের দৃষ্টিতে এশিয়ার কূটনৈতিক চিন্তা ধারা
ভারতের দৃষ্টিতে এশিয়ার কূটনৈতিক চিন্তা ধারা

ভারতের দৃষ্টিতে এশিয়ার কূটনৈতিক চিন্তা ধারা – এ নিয়ে ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক এ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের আলোচনার সূচনা পর্বে ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ এশিয়া কর্মসূচীর পরিচালক রাষ্ট্রদূত টেরেসীটা সেফার ব’ললেন এশিয়া এখন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত দূ’দেশের জন্যেই গুরুত্বপূর্ণ প্রতীয়মান হ’চ্ছে এবং এটা কেবল দক্ষিণ এশিয়াই নয় – পূর্ব এশিয়াও এর মধ্যে শামিল রয়েছে ।

ভারতের দৃষ্টিতে এশিয়ার কূটনৈতিক চিন্তা ধারা
ভারতের দৃষ্টিতে এশিয়ার কূটনৈতিক চিন্তা ধারা

চীনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত উভয়েরই প্রায় অভিন্ন চিন্তাভাবনা রয়েছে – দু’দেশের কেউই চায়না যে চীন প্রাধান্য বিস্তার ক’রে থাকুক – দু’দেশই চীনের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে আগ্রহী । পাকিস্তান ও চীনের মধ্যেকার প্রস্তাবিত পারমানবিক রফা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র –নতুন দিল্লি উভযেরই উদ্বেগ-দূশ্চিন্তা রয়েছে ব’লে রাষ্ট্রদূত শেফার উল্লেখ করেন।

ভারতের গোদরেজ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের চেয়ারম্যান শিল্পপতি জামশেদ গোদরেজ অনুষ্ঠানে বলেন – ভারতের সামনে চ্যালেঞ্জ রয়েছে বিস্তর , বিশেষ ক’রে উন্নয়ন ক্ষেত্রে । চলতি বছরে প্রবৃদ্ধি হার ৮ শতাংশ হবে ব’লে আশা করা হ’চ্ছে এবং এটা ১০ শতাংশেও উন্নীত করা সম্ভব ব’লে মন্তব্য করেন তিনি – বলেন , তবে এটা নির্ভর ক’রবে সামাজিক বিন্যাস ও অবকাঠামোগত উত্কর্ষের ওপরে । জামশেদ গোদরেজ বলেন – ভারত এই মুহূর্তে শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয় – কৌশলগত কূটনৈতিক লক্ষ্য নির্ধারণ ক্ষেত্রে ভারত আলোচনায় বসতে আগ্রহী জাপান , চীন ও অন্যান্য দেশের সঙ্গেও।

ভারতীয় নৌ বাহিনীর eastern command-এর সাবেক সর্বাধিনায়ক রিটায়ার্ড vice admiral পি এস দাস বলেন – বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সবারই প্রায় উপস্থিতি নজরে আসে ভারত মহাসাগরবর্তী অঞ্চলে এবং বিশ্বের একমাত্র যে সমুদ্রের নামকরন হ’য়েছে একটি দেশের পরিচিতির সঙ্গে মিল রেখে, সে দরিয়ার দু’দিকেই গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ ও নির্গমন পথ রয়েছে । বলেন এরই এক মুখে রয়েছে সোমালী জলদস্যুদের উত্পাত , যে উত্পাত থামাতে একযোগে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রয়োজন । এ প্রসঙ্গে তিনি ভারত ও শ্রীলংকার উপকূল অঞ্চলে সূনামীর আঘাতের সময় যুক্তরাষ্ট্র নৌ বাহিনীর তরফের সহযোগীতার কথা স্মরণ করেন ।

এশিয়ার সকল দেশের মধ্যেকার নতুন শরিকানা সম্পর্কের উল্লেখ ক’রলেন রাষ্ট্রদূত রণেন সেন । ব’ললেন ভারতসহ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেকার এ সম্পর্কের বুনিয়াদ হ’লো বানিজ্য-বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি ।

চীন প্রসঙ্গে রণেন সেন বলেন – চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ সম্পর্ক ভারতের কাম্য নয় – এশিয়ার স্বার্থে পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতা আমাদের ক’রতেই হবে ।

বর্তমানে ভারতের পররাষ্ট্র দফতরের অন্যতম প্রধাণ কর্তাব্যক্তি, রাষ্ট্রদূত জয়ন্ত প্রসাদ বলেন – এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল বিশ্বজনিন উত্পাদন খাতে যে অবদান রাখছে, বিশ্ব প্রেক্ষাপটে আমাদের চেহারায় তা রূপান্তরণ ঘটিয়েছে ।

Indian express-এর strategic affairs editor Dr.C Raja Mohan ব’ললেন – ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার জন্যে যে স্থিতিশীলতার প্রয়োজন , সেটা শুধু এশিয়ার সীমারেখার ভেতরেই আটকিয়ে থাকবার নয় ।

আলোচনা অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ভয়েস অফ এ্যামেরিকাকে দেওয়া একান্ত মন্তব্যে রাষ্ট্রদূত রণেন সেন বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন।

ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক এ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের আয়োজীত ভারতের দৃষ্টিতে এশিয়ার কূটনৈতিক চিন্তাধারা বিষয়ক ঐ আলোচনা অনুষ্ঠানে দর্শক-শ্রোতা হিসেবে বিভিন্ন গবেষনা প্রতিষ্ঠানের সদস্যবর্গ – ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনিতিকবৃন্দ এবং ওয়াশিংটনে কর্মরত ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন ।

XS
SM
MD
LG