যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ণ এই বাটে, আমি বাইব না মোর খেয়া তরী এই ঘাটে কিন্তু লেনাদেনা চুকিয়ে দিয়ে, এই হাটে আনাগোনা বন্ধ করে দিয়েও কবি রেখে গেছেন ‘সোনার তরীর’ বিরাট সম্ভার।
তাই আমরা রবীন্দ্রনাথকে মনে করি প্রতিদিন প্রতি বছর সকল উপলক্ষ্যে। এই পরিবেশনায় কবিকে সম্মান করবো - তার গানে? তাঁর কবিতায়? না কি তার বিশেষ কোন দিক তুলে ধরবো। মনে হয়েছে তিনি তো আমেরিকাও সফর করেছেন, পশ্চিমে ঘুরেছেন। আজ তাঁর আমেরিকার সফরের ওপরই কিছু কথা।
কলকাতার প্রবীন সাংবাদিক, পেশা জীবন থেকে অবসর নিয়েছেন কিন্তু রবীন্দ্র চর্চা করেন শ্রীমতি রুচিরা শ্যাম। তিনি রবীন্দ্রনাথের যুক্তরাষ্ট্র সফর প্রসঙ্গে ১৯১২ সালে কবির প্রথম যুক্তরাষ্ট্র যাত্রা থেকে শুরু করে শেষবারের সফরে তাঁর বিভিন্ন কর্মসুচীর কথা বর্ণনা করলেন।
কবির কবিতায় রয়েছে পৃথিবীর কাছে তাঁর নিবেদন, জীবনের কাছে তাঁর নিবেদন, প্রানের কাছে তাঁর নিবেদন। পৃথিবীতে তিনি অমরতার দাবী নিয়ে আসেন নি তবুও তাঁর কর্মে তিনি অমর হয়ে রইলেন।
তাই যখনই শুনি ‘যখন জমবে ধুলা তানপুরাটার তারগুলায়, কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়, ফুলের বাগান ঘন ঘাসে পরবে শয্যা বনবাসের…শেওলা এসে ঘিরবে দীঘির ধারগুলায়, তখন তারার পানে চেয়ে চেয়ে’ - মনে পড়ে রবীন্দ্রনাথ।