অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দূর্নীতির পরিবর্তিত সংজ্ঞা বুঝতে হবে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য


বিশ্বব্যাঙ্ক দূর্নীতির অভিযোগে পদ্মাসেতুর জন্যে বাংলাদেশকে দেয় ১২০ কোটি ডলারের ঋণ বাতিল করেছে। বিশ্বব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ভয়েস অফ আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সিনিয়র ফেলো এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন যে এই ঘটনাটি দূর্ভাগ্যজনক এবং খানিকটা অপমানজনক ও বটে। তবে তিনি জোর দিয়েই বলেন যে , যে কোন ভাবে পদ্মা সেতেু নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতেই হবে কারণ এই সেতু নির্মাণের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক জীবন একান্তভাবে সম্পৃক্ত। পদ্মা বহুমখি প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় প্রকল্প। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের তিন কোটি মানুষ এতে উপকৃত হবে। তিনি মনে করেন যে এই প্রকল্পটি পুনর্জীবিত করতে হবে। নতুন করে বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গে বসা দরকার কিংবা গ্রহণযোগ্য বিকল্প ও সন্ধান করা যেতে পারে।

দূর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে সে সম্পর্কে তিনি বলেন যে আন্তর্জাতিক ভাবে এখন দূর্নীতির সংজ্ঞা পাল্টে যাচ্ছে। দূর্নীত মানে কেবল প্রত্যক্ষ ভাবে উৎকোচ গ্রহণ করা নয় এখন দূর্নীতির অর্থ হচ্ছে , দূর্নীতি গ্রহণ বা প্রদানে রাজি হওয়া কিংবা প্রলুব্ধ করা। বাংলাদেোশে এই বিষয়টি কেউ বোঝেন না যে প্রত্যক্ষ ভাবে উৎকোচ গ্রহণ করা ছাড়া অন্যান্য ভাবেও দূর্নীতি করা যায়।

বিশ্বব্যাঙ্কের এই অভিযোগ সম্পর্কে দুদক কিছু প্রমাণপত্র নিয়ে তদন্তের কাজ নতুন করে শুরু করেছে বলে অতি সম্প্রতি শোনা গিয়েছিল। শোনা গিয়েছিল যে কানাডার পুলিশ এসএনসি-লাভালিন এর দূর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হবার ব্যাপারে তৎপর হয়েছে এবং এ ব্যাপারে তথ্য সরবরাহ করে বাংলাদেশকে সাহায্য সহযোগিতা করছে । তা হলে এই মাঝপথে বিশ্বব্যাঙ্ক এ রকম সিদ্ধান্ত নিল কেন , আমাদের এ রকম প্রশ্নের জবাবে ড দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন যে বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প বিষয়ক চুক্তির মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে গেছে। তৃতীয় দফা নবায়নের পর এই মেয়াদ শেষ হবার কথা ছিল ২৭শে জুলাই। কিন্তু তার আগে বিশ্বব্যাঙ্ক এই চুক্তিটির পরিসমাপ্তি টেনেছে হয়ত নিজেদের কারণেই তবে আর কয়েকদিনে মধ্যেও দু পক্ষ হয়ত সমঝোতায় পৌছুতে পারতো।

দূর্নীতির ব্যাপারে ড ভট্টাচার্য দুঃখ করে বলেন যে প্রথম অভিযোগ পাবার পর থেকে ওেই পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারের মনাভাব হলো এই অভিযোগ অস্বীকার করে যাওয়া। তিনি বলেন যে যদি ও অর্থ মন্ত্রী বলেছেন যে কিছু কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিন্তু সত্যিকার অর্থে সরকার দাতা গোষ্ঠির কাছে আস্থা অর্জন করতে পারেনি।

XS
SM
MD
LG