পাকিস্তানে আল ক্বায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনের গোপন আস্তানা থেকে যুক্তরাস্ট্রের বাহিনী অনেকগুলো ভিডিও আটক করেছে, যেসব ভিডিওতে লক্ষ্য করা গেছে বিন লাদেনের কিছু কর্মকান্ড। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এখন প্রশ্ন উঠছে আল ক্বায়দার আগামি দিনের পরিকল্পনা নিয়ে। কতখানি স্বস্তি নিতে পারবে বর্তমান বিশ্ব- এ সব নিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড আমেনা মহসিন কথা বলছিলেন ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা বিভাগের সঙ্গে ।
অধ্যাপক আমেনা মহসিন বলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযান এবং গোপন তথ্য প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে সন্ত্রাস দমনের এই প্রচেষ্টাকে অনেকখানি এগিয়ে নেবে এবং সেই পরিমাপে এই অভিযান ও ওসামা বিন লাদেনকে নির্মূলের এই ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে তিনি বলেন যে ওসামা বিন লাদেন নিধনই কেবল যথেষ্ট নয় । সেই অঞ্চলে যেখানে এই জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগ সব চেয়ে বেশি , সেখানকার শাসক দল কেবল নয় , জনগণ এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে কতখানি সমর্থন করবে তার উপর নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের সাফল্য এবং তার সুবিধাজনক অবস্থান । কারণ এই দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্যে খুবই জরুরী হয়ে দাঁড়ায় জনগণের সমর্থন। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে রাষ্ট্রের গন্ডির বাইরে যে সন্ত্রাসী তাদের দমন করা খুব একটা সহজ কাজ নয়।
তিনি বলেন মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য সমস্যার সমাধান ও প্রয়োজন এরই সঙ্গে ।
পাকিস্তানের আবটাবাদে যুক্তরাষ্ট্র যে অভিযান চালিয়ে বিন লাদেনকে হত্যা করেছে , সে নিয়ে পাকিস্তান সরকার বাহ্যত দু ধরণের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। প্রথমত , বিশ্বব্যাপী মিডিয়া মনে করছে যে কার্যত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নাকের ডগায় যে বিন লাদেন বসে ছিল , সেটা হয় পাকিস্তান সরকারের অজ্ঞতার পরিচয় , নয়তো পাক সরকার তথ্যটি গোপন করেছে। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক আমেনা মহসিন বলেন যে তাঁর মনে হয় না যে পাকিস্তান সরকারের সবাই কিংবা সেনাবাহিনীর সবাই অথবা পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থার সকলেই ওসামা বিন লাদেনের উপস্থিতির কথা জানতেন । তবে এ কথাও সত্যিই যে সেনাছাউনির অত কাছে এবং পালানোর কোন বিকল্প ব্যবস্থা না থাকা সত্বেও বিন লাদেনের অবস্থানে এটা বোঝা যায় যে পাকিস্তানের কিছু সংখ্যক উচ্চ পদস্থ ব্যক্তি এই বিষয়টি জানতেন।