অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিশেষ আলোচনা : এখন আমরা ভিন্ন বিশ্বের বাশিন্দা


বিশেষ আলোচনা : এখন আমরা ভিন্ন বিশ্বের বাশিন্দা
বিশেষ আলোচনা : এখন আমরা ভিন্ন বিশ্বের বাশিন্দা

২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী আক্রমণের পর , গোটা বিশ্বের চালচিত্রে একটা বড় রকমের পরিবর্তন আসে। বার্লিন প্রাচীরের পতনের পর , সোভিয়েট যুগের অবসানের পর যে একটি পুর্ণাঙ্গ বিশ্বের স্বপ্ন দেখেছিল পৃথিবীর মানুষ , সেই স্বপ্নে বড় রকমের আঘাত লাগে ঐ ৯/১১ ‘র ঘটনা। এর অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনাচক্রে যোগ দিয়েছেন , টেক্সাসের এ এন্ড এম ইউনিভার্সিটির , সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড মেহনাজ মমিন।

লক্ষ্য করার বিষয় যে ২০০১ সালের এগারোই সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর বিশ্বে যেন এক আমূল পরিবর্তন আসে। খোদ যুক্তরাষ্ট্রে যে বিপুল স্বাধীনতা ভোগ করেছেন মানুষ , সেই মানুষই যেন নিজেকে বন্দী অবস্থায় আবিস্কার করেন। তার মুক্তি ও স্বাধীনতার চেয়ে বড় হয়ে দেখা দেয় জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুটি কারণ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর আমেরিকার মূল ভূখন্ডে এই হামলা প্রমাণ করে , যে যুক্তরাষ্ট্র আসলেই ছিল অরক্ষিত। রক্ষার এই প্রয়োজনই মানুষের স্বাধীনতাকে খর্ব করে , আর এতে মুসলমানরা বিপন্ন বোধ করেন কারণ যারা এই সন্ত্রাসী হামলা চালায় , তারা ইসলামের নামেই এই অঘটনটি ঘটিয়েছিল। যদিও ঐ ঘটনার পর পরই যেমন ভাবে ব্যক্তি বিশেষ চিহ্নিত হয়েছিল কোন বিশেষ মতবাদের কারণে , এখন আর সেই ভাবে চিহ্নিত হয় না কিন্তু ড মেহনাজ মোমিন মনে করেন যে এখনও সম্মিলিত ও সামাজিক ভাবে কোন কোন গোষ্ঠিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি মনে করা হয়।

এই অভ্যন্তরীন পরিবর্তনের পাশাপাশি , পরিবর্তন আসে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও । ড মেহনাজ মোমিন বলেন যে একটি অভিন্ন বিশ্ব নির্মাণের স্বপ্ন ভেঙ্গে পড়লো ২০০১ সালের এগারোই সেপ্টেম্বরে। আবারও রাষ্ট্রীয় কাঠামোর আবর্তে আবদ্ধ হলো মানুষ । আল ক্বায়দা আগের তুলনায় শক্তিশালী হয়েছে নাকি দূর্বল হয়ে পড়েছে , সেটি বিতর্কিত বিষয়। এক ভাবে বলা যায় যে ৯/১১ ‘র আগে পর্যন্ত আল ক্বায়দার অস্তিত্ব ছিল খুবই ক্ষীণ , আবার অন্য ভাবে বলা যায় যে ওসামা বিন লাদেনের বিদায়ের পর , এখন আল ক্বায়দা দূর্বল হয়ে পড়েছে। আরব দেশে গনতন্ত্রের যে বসন্ত লক্ষ্য করা যায় , তা আল ক্বায়দার অনুকুলে না কি প্রতিকুলে সেটি ও প্রশ্নসাপেক্ষ বিষয়।

XS
SM
MD
LG