নিউজার্সির প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে উইদারস্পুন ইনস্টিটিউটে ৫ দিনের এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। আলোচ্য বিষয় ছিল ‘ইসলাম ও ধর্মীয় স্বাধীনতা’। এই সেমিনারে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, উজবেকিস্তান, চীন, ইটালি, সিরিয়া, ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিরা এতে যোগ দেন।
অংশগ্রহণকারীরা ইসলাম ধর্মে পরমত সহিষ্ণুতা, ধর্মান্তরের ক্ষেত্রে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি যেমন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা এবং কোন মুসলমান যদি অন্য ধর্ম গ্রহণ করেন, সে ক্ষেত্রে কি মনোভাব গ্রহণ করা হয়, তার মধ্যে পার্থক্য কি থাকে, ধর্মীয় অবমাননা, মুসলিম প্রধান অঞ্চলে অমুসলিমদের অবস্থা, অন্যদিকে সংখ্যালঘু মুসলমানদের পরিস্থিতি এই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
সেমিনারে বাংলাদেশ থেকে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের সমাজ উন্নয়নমুলক বেসরকারী প্রতিষ্ঠান হযরত মোহাম্মদ (দঃ) ইনস্টিটিউটের সদস্য ফাতিন হক। তিনি মুসলমানদের ধর্ম বিশ্বাস ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনায়, বাংলাদেশে বর্তমানে যে পরিস্থিতি তা আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘নবী করিম নিজে অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তাঁর সেই উদাহরণ আমাদের অনুসরণ করা উচিত। তাঁর পরেও ইসলাম ধর্মে আমরা অন্য ধর্মের প্রতি সহনশীলতা লক্ষ্য করেছি। অন্য ধর্মের প্রতি কোন চাপ সৃষ্টি না করার কথা বলা হয়েছে। তবে দিনে দিনে সেই ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। কেন?’
৫ দিনের সেমিনারে এইসকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।