শুক্রবারে জাপানে যে ভূমিকম্প হল তার চেয়ে বেশি শক্তিশালী ভূমিকম্প জাপানে গত ১৪০ বছরে হয়নি। এই এলাকায় বুধবার ৭ দশমিক ৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিলো। কিন্তু তাতে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।
জাপানে এর আগের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হয়েছিলো কান্টোতে ১৯২৩ সালে। ৮ দশমিক ৩ মাত্রার এই ভূমিকম্পে ১ লক্ষ ৪৩ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছে। ১৯৯৬ সালে কোবে শহরে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৬,৪০০ মানুষ মারা যায়।
জাপান যেখানে অবস্থিত, সেই এলাকাকে “দা রিংগ অফ ফায়ার” বলা হয়, কারন সেখানে ভূমিকম্প হওয়া বা আগ্নেয়গিরি ফেটে পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আজকে জাপানে যা হয়েছে, তার আশংকাও করা হয়েছিলো, কিন্তু এই ভূমিকম্প এবং তার পরের সুনামি যে এত বেশি ভয়ঙ্কর হবে, তা হয়ত কেউই আশংকা করতে পারেনি।
ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি, অথবা সমুদ্রের নিচে যেসব ভূমিধ্বস হয়, তার কারণেই সুনামি শুরু হয়। জলের নিচে যখন এরকম কিছু হয়, তখন এমন চাপ সৃষ্টি হয় যার কারনে সুনামি ভীষন শক্তিশালী হয়ে যেতে পারে। সুনামি একটা ঢেউ না, অনেকগুলো ডেউ-এর সম্মনয়ে একটা সুনামি। আর তা সমুদ্রে জেট প্লেইনের চেয়েও জোরে চলতে পারে।
সমুদ্রের পারে পৌঁছতে পৌঁছতে তার গতি কিছুটা কমে যায়। কিন্তু তবুও ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পুরো এলাকা। আপনারা হয়ত জানেন, ২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় যেই ভূমিকম্প হয়, তার কারণে যে সুনামি তৈরি হয়, তাতে ১৮টি দেশের ২ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়।