অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ: প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা


মুক্তিযোদ্ধাদের কন্যারা যুদ্ধ অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের কন্যারা যুদ্ধ অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্যে গঠিত ট্রাইবুনালের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন যে এই বিচার কার্যক্রম সম্পুর্ণ নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে সফরের সময়ে ভয়েস অফ আমেরিকার সঙ্গে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান খান বলেন যে ১৯৭৫ সালের পর তদানীন্তন সেনা শাসক ও পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান যদি ও দালাল আইন বাতিল করে দেন কিন্তু ১৯৭৩ সালের যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত আইন,যা এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বহাল থাকে।

প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা মনে করেন যে প্রায় চল্লিশ বছরের দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়ার অসুবিধা সত্বেও, সেই সময়কার অপরাধের ব্যাপারে যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছে। বিচারের আন্তর্জাতিক মান সম্বন্ধে তিনি বলেন যে এই বিচারে সন্দেহভাজনদের আটক করা কিংবা তাদের আদালতে হাজির করার বিষয়টি,বাংলাদেশের চলতি আইনের চেয়ে ও কঠিন। সুতরাং যাতে অন্যায় ভাবে কাউকে কারারুদ্ধ করা না হয়, সে ব্যাপারে আন্তর্জাতির্ক অপরাধ আদালতের সমস্ত নিয়ম নীতি পালন করা হচ্ছে।

আব্দুল হান্নান আরও বলেন যে যুদ্ধাপরাধ ও মানবাতা বিরোধী অপরাধ বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ , স্টিফেন র্যা প নিজেও বাংলাদেশে তাঁর দ্বিতীয়বারের সফরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুদন্ড সম্পর্কে তাঁর আপত্তি ছিল বটে কিন্তু খোদ যুক্তরাষ্ট্রে ও কোন কোন রাজ্যে মৃত্যুদন্ডের বিধান রয়েছে এখনও । তাছাড়া বিচার চলাকালীন কোন কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল জানানের ব্যাপারে তাঁর অভিমত রয়েছে। সেই ভাবে পর্যায়ে পর্যায়ে আপিলের সুযোগ দিলে এই বিচার আরও বিলম্বিত হতে পারে। তবে সম্পুর্ণ রায় বেরোনোর পর ,দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের আপিল করার অধিকার সংরক্ষিত রয়েছে।

XS
SM
MD
LG