অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

হরতালের বিকল্প উপায় চায় জনগণ: অজয় দাশগুপ্ত


ঢাকার দৈনিক সমকাল পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক ও সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধান অজয় দাশগুপ্ত বলেছেন যে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখন চায় যে রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিবাদের উপায় হিসেবে হরতাল পালনের বিকল্প দিকগুলো ব্যবহার করুক । অজয় দাশগুপ্ত, যিনি ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ভুখন্ডে হরতাল পালনের কারণ ও প্রতিক্রিয়ার উপর বিস্তারিত গবেষণা করেছেন ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন যে হরতাল রাজনৈতিক প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে ক্রমশই তার শক্তি হারাচ্ছে। তিনি বলেন যে এর বিকল্প হিসেবে সমাবেশ কিংবা মানব বন্ধনের কথা ভাবা যেতে পারে।

অজয় দাশগুপ্ত আরও বলেন যে বিরোধীদলের মত প্রকাশ করার সর্বশ্রেষ্ঠ স্থানটি হচ্ছে সংসদ। জনগণ চান যে তাঁরা যেন সংসদে গিয়ে তাঁদের বক্তব্য রাখেন। তা ছাড়া সংসদে না গিয়েও তাঁরা এখন যে কোন বেসরকারী বৈদ্যূতিন মাধ্যম,যেমন টেলিভিশন,বেতার এবং অনলাইনে তাঁদের মতামত প্রকাশ করতে পারেন এবং প্রতিবাদ জানাতে পারেন। সুতরাং তাঁর মতে, স্বাধীন মতামত প্রকাশ করার অন্যান্য সুযোগ ও বিরোধীদলগুলো নিতে পারে।

রোববারের হরতালের সাফল্য ও ব্যর্থতা সম্পর্কে তিনি বলেন যে গতানুগতিক ভাবে সরকারী দলগুলো সব হরতালকে ব্যর্থ আর বিরোধীদলগুলো হরতালকে সফল বলে দাবি করে এসেছে এবং এ বারও এর কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি। তিনি বলেন যে প্রায় মাস খানেকের ও বেশি সময় আগে ঘোষিত এ্‌ই হরতালটি ভোলা নির্বাচনে কথিত কারচুপির অভিযোগে করা হয়। তবে পরে চট্টগ্রামের মেয়র নির্বাচনের ফলাফলে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয় যে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নির্বাচন করতে সমর্থ হয়েছে। অজয় দাশগুপ্ত অবশ্য বলেন যে বিদ্যুৎ,পানি ও গ্যাসের দাবিটি যথার্থ এবং এর দায় যেমন আগের সরকারগুলি এড়াতে পারে না , তেমনি বর্তমান সরকারও এর দায় এড়াতে পারবে না। জনগণ দেখতে চায় সরকার এই সব সমস্যা সমাধানের জন্যে বাস্তবে কি করছে।

XS
SM
MD
LG