অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিন লাদেনের হত্যাকান্ড, য়ুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেছে


এক বছর আগে পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে এবং ইতিহাসের সবচাইতে ব্যয়বহুল তল্লাশির অবসান ঘটে। পাকিস্তানের এক সামরিক অ্যাকাডেমির কাছে, বিন লাদেনের আস্তানায় যুক্তরাষ্ট্রের গোপন অভিযান, ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্কে প্রচন্ড টানাপোড়েন সৃষ্টি করে।

এ সম্পর্কে ইসলামাবাদ থেকে ভয়েস অফ আমেরিকার আয়াজ গুলের রিপোর্ট। পড়ছেন শাগুফতা নাসরিন কুইন।

অ্যাবোটাবাদে ওসামা বিন লাদেনের সব শেষ বাসস্থান বিধ্বস্ত অবস্থায় রয়েছে।

প্রতিবেশিরা এখনও সেই কালরাতের কথা স্মরন করেন যে রাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী পলাতক আল কায়দা নেতাকে হত্যা করে।

এক ব্যাক্তি বলেন "আমি বারান্দায় দাড়িয়ে ছিলাম যখন একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। আমি দেখতে পাই যে অন্য আরেকটি হেলিকপ্টার বিশাল ওই বাড়ির উপর দিয়ে উড়ে যায় এবং তার পর অবতরণ করে।"

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমন অভিযানের পর আল কায়দা প্রধান ওয়াজিরিস্তান ভবনে অবস্থান নেন। ৫ বছর বিন লাদেন ও তার ৩ স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা ওই বাড়িতে ছিলেন।

পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ ওই ভবনটি ধ্ংশ করে ফেলে। কিন্তু সাবেক সেনা বাহিনীর অফিসার এবং তদন্তকারী শওকাত কাদির বলেন বিন লাদেনের আদর্শিক চিন্তাধারা মুছে ফেলা কঠিন হবে।

তিনি বলেন "পাকিস্তানি তালেবানের আল কায়দার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। আমরা জানি আল কায়দার পাঞ্জাবে অনুসারীরা রয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ পাঞ্জাবে। তাই আমাদের একটা সমস্যা রয়ে গেছে। পাকিস্তানিদের আল কায়দার সমস্যা আছে।"

সমালোচকরা বলেন পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ প্রায়ই অভ্যন্তরিন নিরাপত্তা সমস্যার জন্য বহির্শক্তিগুলোকে দোষারোপ করে। তারা সামরিক পন্থি ধর্মীয় গ্রুপগুলোকে অগ্রাহ্য করে।

যুক্তরাষ্ট্রের অক্রমন অভিযানের পর পরই ধর্মীয় গ্রুপগুলো সামরিক বাহিনীর প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে। এবং সামরিক বাহিনী অভিযোগ করে যে ওই আক্রমন পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।

গত বছর ভয়েস অপ আমেরিকার সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ক্যামেরন মানটার ওই কার্যব্যবস্থার পক্ষে যুক্তি দেন যে তা দু রাষ্ট্রের স্বার্থে করা হয়েছে।

তিনি বলেন "বিন লাদেনের বিরুদ্ধে আক্রমন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আক্রমন নয়। এক অভিন্ন শত্রুর বিরুদ্ধে আক্রমন ছিল সেটি। পাকিস্তান যদি অসন্তুষ্ট হয়ে থাকে তাহলে তা সংশোধনের জন্য তাদের সঙ্গে আমাদের খুব ঘনিষ্ট ভাবে কাজ করতে হবে।"

সম্প্রতি পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চালানো হয়।

আসাদ মুনির পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার একজন সাবেক অফিসার।

তিনি বলেন গত বছর বা ২ মে’র আগে য়েমন ছিল তেমন আর হবে না। কিন্তু সম্পর্ক ভাল করতে হবে। তারা যদি একসঙ্গে কাজ করতে না পারে, তাহলে ওবামার ওই এলাকা ত্যাগ করার কলা কৌশল কার্যকর করা যাবে না।

বিশ্লেষকরা বলেন এখন আর যেহেতু বিন লাদেন নেই, বর্তমানে প্রধান নিরাপত্তা জনিত চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সেই পাকিস্তানি ও আফগান গ্রুপগুলো যারা আল কায়দা নেতাকে পশ্চিমের বিরুদ্ধে মুসলমানদের প্রতিরোধ শক্তির প্রতীক বলে মনে করে।

XS
SM
MD
LG