অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শ্যাডোস অন দি ট্যাস


শ্যাডোস অন দি ট্যাস
শ্যাডোস অন দি ট্যাস

আমেরিকার ঐতিহাসিক স্থানগুলো রক্ষার জন্য অনেক রকম সংস্থা আছে। ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান দেশের বিভিন্ন স্থানে উনিশটি ঐতিহাসিক স্থান ক্রয় করেছে । এ রকম একটি আছে, লুইজিয়ানা রাজ্যের একেবারে কেন্দ্রস্থল কেজেন কান্ট্রি--- ছোট্ট শহর নিউ আইবেরিয়াতে।

ফরাসী ভাষাভাষীর মানুষ ক্যানাডার একার্ডিয়া এলাকা থেকে এসেছিল প্রায় আঠার শতাব্দীতে। এদের কেজেন বা একার্ডিয়ান বলা হয়। এরা লুইজিয়ানার নীচু জলাভূমি অঞ্চলে মাছ ধরা এবং আখ ক্ষেতে কাজ করা শুরু করে।

একাশি হ্যাক্টর জমিতে ছিল বেশ কয়েকটি বিশাল ভবন, আখক্ষেত এবং আখের রস চিনি তৈরীর কারখানা। দু’শ পঁচিশ জনেরও বেশি কৃষ্ণাঙ্গ ক্রীতদাস ঐসব দালানে এবং আখ মাড়ানো কারখানায় কাজ করত।

১৮৩৪ সালে তৈরী তিনতলা ভবনটি রয়েছে ইউক প্লেন্টেশন বা বিশাল আখ চাষের খামারের ঠিক মধ্যেখানে। গ্রীক ডিজাইনের বাড়িটিতে বিশাল আটটি স্তম্ভ রয়েছে। আমেরিকার গৃহযুদ্ধের সময় উত্তরাঞ্চলিয় সেনারা ঐ বাড়ীটি দখল করে নেয়। তারপর হাত বদল হয়ে অবশেষে ১৯২০ সালে ইউকস পরিবারে কাছে আসে। ইউক্স হিল প্রায় সারা জীবনই কাটিয়ে দেন তাঁর প্রোপিতামহের সম্পদ রক্ষণের কাজে। তিনি ঐ এষ্টেট বা সম্পত্তিটির নতুন নাম দেন “স্যাডোস অন দি ট্যাস”

ভবনটির অদুরে নিরবে বয়ে গিয়েছে হ্রদ তার মৃদু মন্থর শব্দ কদাচিত কর্ণগোচর হয়। ভবনে ঢোকার পথটাও অপূর্ব, পথের দুধারে বিশাল ওকগাছের সারি যেন হাত ধরাধরি করে আছে আর গাছের ডাল-পালা থেকে ঝুরঝুর করে করে নেমে ঝুলছে অসংখ্য স্প্যানিশ মস। গাছের ছায়ায় আলোছায়ার খেলা আর স্প্যানিশ মসের নরম পরশ যেন মায়াময় কোন জগতের হাতছানি দেয়।

১৯৫৮ সালে মিঃ হলের মৃত্যুর কিছু আগে ন্যাশনাল ট্রাষ্ট ফর হিষ্টরিক প্রিজারভেশন সংস্থাকে এই সম্পদ দান করে যান। ভবন সংরক্ষণের কাজ করার সময় বাড়ীর এটীক বা চিলেকোঠা থেকে শ্রমিকরা কয়েক ডজন ট্রাঙ্ক আবিষ্কার করেন। সতের হাজার নথিপত্র, ৬৫০টি পোশাক সম্পর্কিত প্রতিবেদন। মুল্যবান শিল্প সামগ্রী, চার প্রজন্মের আরক্ষিত মুল্যবান ক্রিষ্টাল।

ন্যাশনালট্রাষ্ট জানিয়েছে যে ঐসব জিনিষ থেকে উত্তরাঞ্চলীয় পুরাতন বনেদী পরিবারের পূর্ণাঙ্গ একটা রেকর্ড পাওয়া সম্ভব হয়েছে। সম্ভাবত “শ্যাডোস অন দি ট্যাস” ই একমাত্র ক্ল্যাসিক প্লেন্টেশন বা খামার যেখানে চার প্রজন্মের ইতিহাস অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।

XS
SM
MD
LG