তুরস্ক সরকার বলছে সরকারি দমন-উত্পিড়নের ভয়ে সীমান্ত পেরিয়ে তুরস্কের ভূখন্ডে ঢুকেছে এরকম সিরিয় বাসির সংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ১৬ শো তে ।
সিরিয় প্রেসিডেণ্ট বাশার আল আসাদ যে কয়েক সপ্তাহ যাবত সরকার বিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভকারিদের ওপর দমন অভিযান চালাচ্ছেন, তা থেকে বাঁচার চেষ্টায় এই সিরিয়বাসিরা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন । কেউ কেউ ব’লছেন – কালো পোশাক পরা ঐ বন্দুকাবাজেরা প্রতিবাদ-বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছূঁড়েছে কোনোরকম হূঁশিয়ার না দিয়েই ।
সিরিয়া সরকার , সীমান্ত ঘেঁসা অঞ্চলে আরক্ষা বাহিনীর ১ শো ২০ সদস্যের হত্যাকান্ডের দায়ে সশস্ত্র লোকজনকে দোষারোপ করছেন এবং তাদের বিরূদ্ধে চরম আঘাত হানা হবে বলে হুশিয়ার করে দিয়েছেন।
ইতিমধ্যে জাতিসংঘে সহিংসতা রোধ করার জন্যে জোর তত্পরতা চলছে। সরকার বিরোধী প্রতিবাদীদের ওপর সিরিয়া সরকারের দমন অভিযানের প্রতি ধিক্কার জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যে প্রস্তাব উঠেছে রাশিয়া তার বিরোধীতা করে ব’লে আজ ঘোষনা দিয়েছে । বৃটিশ প্রধাণমন্ত্রী ডেইভীড ক্যামরন ঐ প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে ধিক্কার ব্যক্ত করেন এবং মানবিক প্রয়োজনে দেশটিতে প্রবেশাধিকারের দাবী জানান , বৃটিশ পালামেন্টের কমন্স সভায় দেওয়া তাঁর বক্তবে । বলেন অবদমনের অকাট্য সব খবরাখবর পাওয়া যাচ্ছে ,– এ মেনে নেওয়া যায়না ।
রূশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মূখপাত্র আলেকযান্ডার লুকাশেভিক ব’লছেন – অসন্তোষ বিশ্ব শান্তি বা নিরাপত্তার জন্যে হূমকি সৃষ্টি করে না ।