বাংলাদেশের বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড এম জহির বলেন যে পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী বাতিল সত্বেও এই সব সংশোধনীর আওতায় অতীতে যে সব কর্মকান্ড ঘটেছে সেগুলো বাতিল হবে না। তা ছাড়া প্রাত্যহিক কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতাও রক্ষা করা সম্ভব হবে। পঞ্চম সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত আদালতের রায়ের সব চেয়ে বড় রাজনৈতিক প্রভাব হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষ ব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন। তিনি বলেন এটি দেশের জন্যে একটি বড় অগ্রগতি যদিও তিনি মনে করেন যে বাঙালি এমনিতেই ধর্মনিরপেক্ষ জাতি।
পঞ্চম ও সপ্তম উভয় সংশোধনীর আরেকটি তাত্পর্য হচ্ছে যে দুজন সামরিক কর্মকর্তা যথাক্রমে জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং জেনারেল হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদের ক্ষমতাগ্রহণকে অবৈধ ঘোষণা। এরশাদের বিচার প্রসঙ্গে ড জহির বলেন যে আদালত সে দায়িত্ব দিয়েছে সংসদের কাছে। ড জহির বলেন যে পরবর্তী যে সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকার ২০০৭ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে, সে সম্পর্কে এখনও কোন রায় আসেনি।
আদালতের এই রায়ের কারণে বাংলাদেশে অবৈধ ভাবে ক্ষমতাদখল যে সত্যি সত্যিই বন্ধ হবে সে আশ্বাস ড জহির দিচ্ছেন না। তিনি বরঞ্চ বলছেন যে সেনাবাহিনী সংবিধান কিংবা বিচারের রায়ের তোয়াক্কা না করেই ক্ষমতায় আসে। তবে এ ধরণের ক্ষমতাগ্রহণ যাতে না হয় সে জন্যে রাজনীতিকদের ও দায়িত্ব আছে। অবশ্য ড জহির বলেন যে গণতন্ত্র ও মুল সংবিধানের পক্ষে এই রায় বাংলাদেশের মানুষের মুখোজ্জ্বল করেছে।