বর্মার গণতন্ত্রকামী নেত্রী আন সান সুচি গত বছর তার গৃহবন্ধী অবস্থা থেকে মুক্তির পর এই প্রথম সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একজন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সরকারী কর্মকর্তাটি পরে এই আলোচনাকে আরো সহযোগিতার দিকে প্রথম পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেন এবং বলেন যে দুই পক্ষই আবার বৈঠক করতে রাজি হয়েছে। রেঙ্গুন বৈঠকের পর আন সান সুচি সংক্ষেপে সংবাদদাতাদের বলেন যে তিনি আশা করছেন, আলোচনা এমন ফলাফলের দিকে নিয়ে যাবে, যা হবে দেশের জন্যে কল্যাণকর। তিনি সে দেশের শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রী আন কী-র পাশে দাড়িয়ে এই বক্তব্য রাখেন। আন কী একটি লিখিত বিবৃতি পড়ে শোনান যেখানে তিনি বলেন যে এই আলোচনায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং অনৈক্য পরিহারের ওপর আলোকপাত করা হয়। থাইল্যান্ডে বর্মার প্রবাসী সরকারের একজন মুখপাত্র জিন লীন বলেন যে অতীতের মতো এই বৈঠক নিয়েও দুশ্চিন্তা আছে। তিনি বলেন যে সরকার যদি সত্যি সত্যি গণতন্ত্রের পথ অনুসরণ করতে চায়, তা হলে তাদের উচিৎ রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দেওয়া। সোমবারের বৈঠকের মাত্র দিন কয়েক আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী তাঁর ভারত সফরের সময়ে বর্মার মানবাধিকারকে শোচনীয় বলে বর্ণনা করেন।