সিডনি — অস্ট্রেলিয়ান জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার রোধ করতে নতুন প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, স্বাস্থ্যের উপর এর বিরূপ প্রভাবকে তাঁরা অ্যাসবেস্টস এবং সীসা পেইন্টের সাথে তুলনা করছেন।
২০১২ সালে প্রবর্তিত প্লেইন প্যাকেজিং আইন, উচ্চ কর এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গ্রাফিক সতর্কতাসহ অস্ট্রেলিয়া ইতোমধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছে।
তবে ধূমপান বিরোধী প্রচারকারীরা বলছেন, এই পদক্ষেপগুলি মানুষকে ধূমপান থেকে বিরত রাখতে যথেষ্ট নয়। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সুপারমার্কেট এবং মুদী দোকানের তাক থেকে সিগারেট সরাতে চান।
সরকারের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ানদের ১৪ শতাংশ মানুষ ধূমপান করে, ১৯৭৭ সালে এই হার ছিল ৩৭%। অস্ট্রেলিয়ার মেডিকেল জার্নালে সোমবার প্রকাশিত একটি নিবন্ধে গবেষকরা বলেছেন, তামাকের ব্যবহার খুব ধীরে হলেও কমছে।
কোরাল গার্টনার হলেন ন্যাশনাল হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের সেন্টার অফ রিসার্চ এক্সিলেন্স অন অ্যাচিভিং দ্য টোব্যাকো এন্ডগেম, নামে একটি সরকারি সংস্থার পরিচালক৷
তিনি বলছেন, দোকান এবং সুপারমার্কেটে তামাকের প্রাপ্যতা আরও সীমিত করা দরকার।
গবেষকরা বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, কানাডা এবং হংকংয়ের গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাপ্তবয়স্কদের অর্ধেকই তামাক বিক্রি পর্যায়ক্রমে বন্ধ করতে চায়। গত এপ্রিল মাসে, নিউজিল্যান্ড সরকার বেশ কয়েকটি নতুন পদক্ষেপের প্রস্তাব করেছে, যা তামাকের খুচরা বিক্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা দ্রুত কমিয়ে আনবে ।
সরকারি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিরোধযোগ্য রোগ এবং মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ধূমপান।