অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড শনিবার শক্তিশালী ডুবো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রত্যন্ত দ্বীপদেশ টোঙ্গার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনে সামরিক নজরদারি ফ্লাইট পাঠিয়েছে।
এই অগ্নুৎপাতের কারণে দ্বীপটির আকাশ ভারী ছাইয়ের আবরণে ঢেকে যায় এবং সুনামির সৃষ্টি হয় যা টোঙ্গার উপকূল ভাসিয়ে দেয়।অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের কর্মকর্তারা জানান তারা উপকূল বরাবর দোকানপাট ও বাড়িঘরে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়েছেন। স্যাটেলাইট ফোন সার্ভিস ব্যবহার করে টোঙ্গার বাসিন্দারা এই খবর দিয়েছেন।
হুঙ্গা-টোঙ্গা-হুঙ্গা-হাপাই আগ্নেয়গিরির শনিবারের অগ্নুৎপাত সমুদ্রের তলদেশে ব্যবহৃত একক ফাইবার অপটিক ক্যাবল ব্যবস্থাকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যার মাধ্যমে দেশটিতে টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা দেয়া হয়।এই ক্যাবল মেরামতে এক থেকে ৩ সপ্তাহের মতো সময় লাগবে।
টোঙ্গার কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, অগ্নুৎপাতের ছাই বাতাসকে বিষাক্ত করেছে এবং দেশের তাজা পানীয় জলের সরবরাহকে দূষিত করেছে।কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের মাস্ক পরিধান ও বোতলের পানি পান করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
কর্তৃপক্ষ এছাড়াও, দ্বীপটিতে ত্রাণকর্মীদের মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভাইরাস বয়ে আনার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, দ্বীপটি এখনো পর্যন্ত যে রোগ থেকে মুক্ত থাকতে সমর্থ হয়েছে।
দৃশ্যত মাত্র একজন শনিবারের বিপর্যয়ে মারা গেছেন, যিনি এখন ব্রিটিশ মহিলা, সুনামির ঢেউ তাকে সাগরে ভাসিয়ে নেয়।
এই অগ্নুৎপাতের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলের বেশির ভাগ এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।সুনামির কারণে সৃষ্ট উত্তাল ঢেউয়ে পানিতে ডুবে পেরুতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
[এই প্রতিবেদনের কিছু কিছু অংশ এপি, এফপি ও রয়টার্স মাধ্যম থেকে নেয়া]