অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পহেলা বৈশাখকে ঘিরে সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে


ঢাকায় রীতিমতো নিরাপত্তা ক্র্যাকডাউন। পহেলা বৈশাখকে ঘিরে আরোপ করা হয়েছে বিধিনিষেধ। সরকারি তরফে জানানো হয়েছে, বিকাল ৫টার মধ্যে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। বুভুজেলা জাতীয় বাঁশি আর মুখোশ ব্যবহারের উপরও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো সমালোচনা করলেও প্রশাসন তার সিদ্ধান্তে অনঢ় রয়েছে।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সবস্থানেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নিরাপত্তার স্বার্থেই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, নিরাপত্তা নিয়ে সরাসরি কোন হুমকি নেই। তবুও কোন ফাঁক-ফোকর রাখা হয়নি।

বাংলা নববর্ষের প্রথমদিন উদযাপন ঘিরে একধরনের তর্ক-বিতর্কও তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের সমাজে। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে দাবি করা ওলামা লীগ পহেলা বৈশাখ পালনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যদিও ক্ষমতাসীন দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওলামা লীগের সঙ্গে তাদের কোন সম্পর্ক নেই।

ওদিকে, পহেলা বৈশাখে ইলিশ খাওয়ার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আবার আকাশচুম্বি দাম সত্ত্বেও অনেকে ঠিকই ইলিশ কিনছেন। একটি ইলিশ ২১ হাজার টাকায় বিক্রি হওয়ার খবর সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য তালিকায় ইলিশ রাখেননি। গত বছর পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে নারী নিপীড়নের ঘটনার পর এবার নানা ধরনের কড়াকড়ি আরোপ করা হলো। নিরাপত্তার ঝুঁকির বিষয়টিও আলোচিত হচ্ছে। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী।

XS
SM
MD
LG