অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইতালি ফেরতরা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে


ইতালি ফেরত ১৪৭ বাংলাদেশিকে রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্পে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। ৬ জনকে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। তাদেরকে ১৪ দিন সেখানেই থাকতে হবে। কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে এই বাংলাদেশিরা ইতালি গিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের গতিরোধ করে ইতালি ইমিগ্রেশন। তারা জানিয়ে দেয়, এই বাংলাদেশিরা করোনা ভাইরাস বহন করে এনেছেন। এর আগের ফ্লাইটে যারা গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ১৪ জনের শরীরে করোনার সন্ধান পাওয়া যায়। ইতালির সংবাদ মাধ্যম খবর দেয় টাকার বিনিময়ে এরা ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে ইতালি প্রবেশ করেছে। ইতালির স্বাস্থ্য বিভাগ তদন্তে নামে। প্রমাণ মেলে ভুয়া সার্টিফিকেটের। এর পরই বাংলাদেশিদের ইতালি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আপাতত ৫ই অক্টোবর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এই বাংলাদেশিদেরকে যাতে ফেরত না পাঠায় সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশ দুতাবাস হস্তক্ষেপ করে। অনেক দেন দরবারের পর ইমিগ্রেশন সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকে। এরপর তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়। এর আগে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সর্বশেষ খবর, ইতালিতে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ৯৮ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৩৭ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মারা গেলেন দুই হাজার ২৭৫ জন। এই সময় আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৯৪৯ জন। সর্বমোট আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৭৮ হাজার ৪৪০ জন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত দুইদিনে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ওদিকে পোশাক ক্রেতারা যাতে ক্রয়াদেশ বাতিল না করে সেজন্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বাংলাদেশ। বলেছে, ক্রয়াদেশ বাতিল হওয়ার কারণে অনেক পোশাক মালিক কারখানা বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে করে বেকার হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক। শ্রমিকদের এই অবস্থা সম্পর্কে আইএলও একটি ভার্চুয়াল সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে অংশ নেন বাংলাদেশের শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান। সেখানে তিনি বলেন, পোশাক খাতের এই সংকট বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করেছে।

উল্লেখ্য যে, বিশ্ববাজারে ৩১৮ কোটি ডলারের বেশি ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে। তিনশোর বেশি কারখানা বন্ধ হয়েছে। সাড়ে বাইশ হাজার শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন।

please wait

No media source currently available

0:00 0:02:04 0:00
সরাসরি লিংক


XS
SM
MD
LG