বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের কারনে দুই মাসের ওপর গন পরিবহন বন্ধ থাকার পর গত রোববার থেকে তা চালু হলে স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষিত হওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন এই বলে যে এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে দেশকে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে।
দূরপাল্লার বাস গুলোতে স্বাস্থ্য বিধি কিছুটা মানা হলেও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহর গুলোতে চলাচল করা গনপরিবহনের ক্ষেত্রে তা অনেকটাই উপেক্ষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নৌযান গুলোতেও বিশেষ করে ডেকের যাত্রীদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছেনা বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। ঈদ-উল-ফিতরের সময় লক ডাউন সীমিত আকারে শিথিল করার প্রসঙ্গ টেনে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন শপিং মলে ক্রেতাদের ভিড় এবং শহর ছেড়ে দেশের বাড়ীতে বিপুল সংখ্যক মানুষ স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করে যাওয়া এবং ফেরত আসার কারনে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এ প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে গত দুই সপ্তাহেই করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৬৬৪ জন,যা সোমবার পর্যন্ত দেশে মোট শনাক্ত হওয়া ৪৯ হাজার ৫৩৪ জন করোনা রোগীর অর্ধেকেরও বেশি। সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মঙ্গলবার এক অনলাইন সংবাদ ব্রিফিং এ বলেছেন সরকার শর্তসাপেক্ষে গণ পরিবহন চালুর করার কথা থাকলেও সেটি কোনোক্রমেই বাস্তবায়িত হয় নাই। বাস,লেগুনা, টেম্পো, অটোরিকশাসহ সব ধরনের গণ পরিবহনেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করে তিনি অভিযোগ করেন দূরপাল্লার বাসগুলোতে ঠেলাঠেলি করে মানুষ ঢুকতে দেখা গেছে এবং কোনো কোনো বাসের ছাদের উপরেও যাত্রী তোলা হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী অবশ্য বলেছেন গনপরিবহন গুলো যদি স্বাস্থ্যবিধি না মানে তবে সরকারকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে ।
করোনা কালে গন পরিবহন নিয়ে যে সকল অভিযোগ উঠছে তা নিয়ে ভয়েস অফ অ্যামেরিকার সাথে কথা বলেছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহা সচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তাকে প্রশ্ন ছিল গন পরিবহন নিয়ে যে সকল অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কি? যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহা সচিব বলেন করোনা ভাইরাসের থাবা থেকে যাত্রী সাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গন পরিবহনের শ্রমিকদের স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়ার কোন বিকল্প নাই।
ঢাকা সংবাদদাতা জহুরুল আলমের প্রতিবেদন।