অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে আক্রান্ত লাখ ছুঁই ছুঁই করছে


সমস্ত অনুমান, আশঙ্কা পেছনে ফেলে করোনা ছুটে চলছে শীর্ষ বিন্দুর দিকে। কিন্তু কোথায় গিয়ে ঠেকবে কেউ বলতে পারছেন না। দু’মাস আগে ২১শে এপ্রিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে বলা হয়েছিল পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে। তাদের ধারণা ছিল ৩১শে মে পর্যন্ত ৪৮ থেকে ৫০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। তাদের ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছুঁই ছুঁই করছে। ইতিমধ্যেই ৯৮ হাজার ৪৮৯ জন সংক্রমিত হয়েছেন। ওই বৈঠকে আটশো থেকে এক হাজার মানুষ মারা যাবেন এমন ধারণাও দেয়া হয়েছিল। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এক হাজার ৩০৫ জন মৃত্যু বরণ করেছেন। বৈঠকে একটি ধারণাপত্র সবাইকে শেয়ার করা হয়। এতে বলা হয় একটি প্রক্ষেপণ অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা হবে এক লাখ। গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার আট জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৪৩ জন। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হওয়ায় সরকারের নীতিনির্ধারক মহল একের পর এক বৈঠক করছেন। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হয়। সরকার ইতিমধ্যেই অঞ্চল ভিত্তিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কবে নাগাদ এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। পাইলট প্রকল্প হিসেবে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারকে বেছে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেছেন নানা ফাঁক ফোঁকর রেখে অঞ্চল ভিত্তিক লকডাউন কোন কাজে আসবেনা।

করোনা ভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে সব দেশের নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশে আগমনী ভিসা স্থগিত রাখার পক্ষে সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই ভিসা স্থগিত থাকবে। তবে শুধুমাত্র বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরকে ভিসা দেয়া যাবে। তাদেরকে অবশ্য ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা মুক্ত সনদ দেখাতে হবে।

ওদিকে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় গার্মেন্ট সহ ১১০টি শিল্প কারখানায় করোনা থাবা বসিয়েছে। এতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৫ জন শ্রমিক। শিল্প পুলিশের তরফে মালিকদের বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করলে যেকোনো সময় কারখানা লকডাউন করে দেয়া হবে। শিল্প পুলিশের ১৯০ সদস্য ইতিমধ্যেই সংক্রমিত হয়েছেন।

ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী

please wait

No media source currently available

0:00 0:02:09 0:00
সরাসরি লিংক


XS
SM
MD
LG