বাংলাদেশে বিনে পয়সায় করোনা ভাইরাসের টেস্ট বন্ধ হয়ে গেল এক সরকারি ফরমানে। বলা হয়েছে এখন থেকে বুথে গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করতে হলে দুইশো টাকা লাগবে। যেসব রোগী হাসপাতালে রয়েছেন তাদেরকেও একই টাকা দিতে হবে। বাসায় গিয়ে যদি কেউ নমুনা সংগ্রহ করেন তখন ফি লাগবে পাঁচশো টাকা। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে খরচের পরিমাণ ১৭ গুনের বেশি। রোগীদের দিতে হয় সাড়ে তিন হাজার টাকা। দেশের বিভিন্ন স্থানে ৬০ টি ল্যাব চালু রয়েছে। এ পর্যন্ত ৭ লাখ ৪০ হাজার ১৯৭ জনের পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪১ হাজার ৮০১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে ৪ হাজার ১৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ সময় মারা গেছেন ৪৫ জন। প্রতিরক্ষা সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসীন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
ওদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে বলেছেন, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ায় বাংলাদেশে করোনায় অন্যান্য দেশের তুলনায় মৃত্যু হার কম। বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি দুই হাজার দুইশো জন। মারা গেছেন ৫ লাখ ১ হাজার ৬৪৪ জন। মৃত্যুর হার হচ্ছে পাঁচ দশমিক এক শতাংশ। এই সময়ে বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৭ জন। মারা গেছেন ১ হাজার ৭৮৩ জন। এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৫৫ হাজার ৭২৭ জন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বরাবরই বলে আসছেন টেস্ট কম হওয়ার কারণে শনাক্তের সংখ্যাও কম। কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত। তারা এই ভাইরাসটি অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন। করোনা সংক্রান্ত সরকারি উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ডাক্তার মোশতাক হোসেন বলেছেন, কুরবানির ইদে পশুর হাট বসবে। লোক সমাগম বাড়বে। মানুষ ঢাকা থেকে গ্রামমুখী হবে। আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে যাওয়া আসা করবে। এতে করে রোগটির সংক্রমণ আরও ব্যাপাক হারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।