বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুর তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। যদিও টেস্ট কম হওয়ায় সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় এক জায়গায় স্থির হয়ে আছে। এ পর্যন্ত দুই হাজার ১৯৭ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা আরও বেশি। করোনা উপসর্গ নিয়ে যারা মারা যাচ্ছেন তাদের নাম তালিকাভুক্ত হচ্ছেনা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই করোনার উপসর্গ নিয়ে প্রায় ৭০০ জনের কাছাকাছি মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৪৮৯ জন। সবমিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭২ হাজার ১৩৪ জন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টেস্ট কমে যাওয়ার কারণে বিপদ আরও বাড়বে। কারণ আপনার পাশের লোকটি যে করোনার বাহক নন তা জানবেন কি করে? টেস্টের ফি নির্ধারণ নিয়ে এখনও বিতর্ক জারি রয়েছে। বিরোধী সবকটা রাজনৈতিক দলই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে। টিআইবি মনে করে সরকারের এ সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক, অমানবিক ও দুরভিসন্ধিমূলক। সংস্থাটির তরফে বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় সরকারি সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার পর করোনা টেস্ট অস্বচ্ছল জনগোষ্ঠীর সামর্থ্যের বাইরে চলে গেছে। এতে করে শনাক্তের সংখ্যাও জানা যাচ্ছেনা। গত ৩০ জুন দুইশো এবং পাঁচশো টাকার ফি নির্ধারণ করে সরকারি পরিপত্র জারি করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ যে বাড়ছে তার প্রমাণ মেলে ওয়ারির দিকে তাকালেই। গত শনিবার থেকে ওয়ারিতে লকডাউন চলছে। এ পর্যন্ত সেখানে দুইদিনে ৫১ জনের টেস্ট করা হয়। এরমধ্যে ২৪ জনই করোনায় আক্রান্ত ।
বিদেশে চাকরি হারিয়ে এ পর্যন্ত ২২ হাজার শ্রমিক দেশে ফিরেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, মৃত প্রবাসির প্রত্যেক পরিবারকে তিন লাখ টাকা করে অনুদান দেয়া হবে। করোনার এই যখন হাল তখন ভুয়া চিকিৎসা ও জালিয়াতি হচ্ছে সমানে। করোনার নকল সার্টিফিকেটসহ নানা জালিয়াতির অভিযোগে কোভিড হাসপাতাল বলে পরিচিত রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। র্যাব ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।