অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে করোনা একদিন বাড়ে, একদিন কমে


বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস একদিন বাড়ে। একদিন কমে। গত ১৮ই মার্চ থেকে এটাই একধরনের নিয়মে পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এটাকে অবৈজ্ঞানিক বলে মন্তব্য করেছেন। তাদের কথা- তিনদিন বাড়তে পারে, তিনদিন কমতে পারে, কিন্তু একদিন পর পর বাড়া-কমার ট্রেন্ড সাধারণত এই ভাইরাসে দেখা যায় না। গত ২৪ ঘণ্টার চিত্রও তাই। পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় আগের দিনের তুলনায় শনাক্ত, মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। এসময় মারা গেছেন ২৮ জন। আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৫৪০ জন। এর আগেরদিন শনাক্ত হয়েছিলেন এক হাজার ৬৬৬ জন। মারা যান ৩৭ জন। স্বাস্থ্য নিয়ে কোন ব্রিফিং না থাকায় জল্পনা নিত্যদিনের। শুরুতে কয়েকমাস নিয়মিত ব্রিফিং হতো। এখন স্বাস্থ্য বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। সরাসরি ব্রিফিং চলাকালেও প্রশ্ন-উত্তর পর্ব ছিল অনুপস্থিত। এখন দ্বিতীয় ঢেউয়ের খবরে একধরনের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কিভাবে মোকাবিলা করা যায় তার প্রস্তুতি চলছে। মন্ত্রী পরিষদ সচিব জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফা লকডাউনের কথা চিন্তা করা হচ্ছে না। তবে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়ে ভাবা হচ্ছে। শীতে যেহেতু এই রোগ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে, সেজন্য বিয়ে ও পিকনিকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে। মসজিদেও একধরনের নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবা হচ্ছে। রোগী না থাকায় যেসব কোভিড হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল সেগুলো পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়ে আসার ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। ঠাণ্ডাজনিত রোগের ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর ব্যাপারে কর্মকর্তারা একমত হয়েছেন। যদিও এন্টিজেন টেস্টের অনুমতি দেয়ার পরও এখন পর্যন্ত চালু হয়নি। জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে । স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা ও শাস্তির বিধান থাকবে। অবস্থা খুব খারাপ হওয়ার আগে জনগণ যাতে হাসপাতালে যায় সেজন্য স্বাস্থ্যবিভাগকেও উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।

ওদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এমনটাই বলা হচ্ছে। গত ১৭ই মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

please wait

No media source currently available

0:00 0:01:57 0:00
সরাসরি লিংক


XS
SM
MD
LG