যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা গ্রহণ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত অগ্রাধিকারমূলক প্রবেশাধিকার বা জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল করবে বলে বাংলাদেশ গভীরভাবে আশাবাদী। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন মঙ্গলবার ঢাকায় গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিইআইয়ের এক ভার্চুয়াল সেমিনারে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে ইতোমধ্যে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন, বাণিজ্য সুবিধা, কোভিড-১৯ মোকাবেলা, অভিবাসনসহ উন্নয়নশীল দেশের স্বার্থ সংরক্ষণে যুক্তরাষ্ট্র অধিকতর সহায়ক ভূমিকা নেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ভার্চুয়াল সেমিনারে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যেন অন্য কারো মাধ্যমে নয়, সরাসরি বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে বাংলাদেশ সেটাই প্রত্যাশা করে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সেমিনারে সিপিডির প্রধান প্রফেসর রেহমান সোবহান বলেন, জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল হলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের বর্তমান রপ্তানি ৫শ’ কোটি ডলার থেকে ১ হাজার ৫শ’ কোটি ডলারে উন্নীত করা সম্ভব।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা জন কেরি মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সাথে এক টেলিফোন আলাপে দুই দেশ কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে এক সাথে কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন।