করোনা সংক্রমণের মহামারীর কারণে দেশে ফিরে আসা হাজার হাজার অভিবাসী বাংলাদেশী কর্মীরা নিদারুণ দুর্দশা এবং অসহায় অবস্থার মধ্যে রয়েছেন বলে জাতিসংঘের শ্রম সংস্থা আইএলও, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক এনজিও ব্র্যাক এবং অভিবাসন নিয়ে কর্মরত সক্রিয়বাদী সংস্থা রামরুসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। এছাড়া করোনা মহামারীর আগে দেশে ছুটিতে আসা দুই লাখের বেশি বাংলাদেশী অভিবাসী তাদের কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন না। তাদের চাকরি আছে কিংবা নেই তাও তারা জানতে পারছেন না। আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা আইএলও দেশে ফিরে আসা বাংলাদেশী অভিবাসীদের আর্থিক সুরক্ষায় সরকারের উদ্যোগের আহŸান জানিয়েছে।
সম্প্রতি ব্র্যাক পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, করোনার কারণে দেশে ফিরে আসা অভিবাসীদের ৮৭ শতাংশের কোন আয়ের উৎস নেই। ৫২ শতাংশ বলেছেন, এখনই তাদের জরুরি ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। আর জরিপ অনুযায়ী ৯১ শতাংশে বলেছেন, দেশে ফিরে তারা সরকারি বা বেসরকারি কোন সাহায্য-সহায়তা পাননি। এ সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন- ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান।
রামরুসহ অভিবাসন নিয়ে কর্মরত সক্রিয়বাদী সংগঠনগুলো বলছে, সরকার করোনার কারণে দেশে ফেরত অভিবাসীদের জন্য যে আর্থিক প্রণোদনা দিয়েছে বলে বলা হচ্ছে- তা আসলে ৪ শতাংশ সুদে আর্থিক ঋণ। কিন্তু বর্তমানে চলার মতো কোন আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়নি। ওইসব সংগঠনগুলো জরুরি ভিত্তিতে দেশে ফেরত আসা অভিবাসীদের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদানের দাবি জানিয়েছে।
ঢাকা থেকে আমীর খসরুর প্রতিবেদন।