বিক্ষিপ্ত অনিয়ম, বিরোধী প্রার্থীদের ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে পৌরসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সকাল আটটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট চলাকালে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েক জায়গায় সহিংসত, ভোটার ও এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের তরফে।বিএনপি’র বেশ কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে দুপুরের পরই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যেই হওয়া এ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্তত ৪০ থেকে ৫০ ভাগ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।দ্বিতীয় ধাপে ৬০ টি পৌরসভার ৫৬টিতে মেয়র পদে ভোট হয়।
নারায়ণগঞ্জের তারাব, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, পাবনার ভাঙুরা ও পিরোজপুরে মোট চারটি পৌরসভায় ভোটের আগেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।ভোট শুরুর পর এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে বাগেরহাটের মোংলায় মেয়রসহ ৯টি ওয়ার্ডে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীসহ মোট ১৫ জন, রাজশাহীর ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী,কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর পৌরসভায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে আঙুলের ছাপ নিয়ে ভোটারদের বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এছাড়া ফেনী ও কুমিল্লা, ঝিনাইদহে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সাভার পৌরসভার বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, একটিমাত্র কেন্দ্র ছাড়া অন্য কোথাও তিনি বিএনপি’র এজেন্ট দেখতেপাননি।