অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফগানিস্তান প্রশ্নে বাংলাদেশ এখনই কোনো অবস্থান নিচ্ছে না


আফগানিস্তানের কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইভাকুয়েশন কন্ট্রোল চেকপয়েন্টে এক তরুণীকে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্য। ২৬ আগস্ট ২০২১।
আফগানিস্তানের কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইভাকুয়েশন কন্ট্রোল চেকপয়েন্টে এক তরুণীকে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্য। ২৬ আগস্ট ২০২১।

বাংলাদেশ এখনই কাবুল পরিস্থিতিতে কোনো অবস্থান নেবে না।এমনকি কোনো মন্তব্যও করবে না।শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, বাংলাদেশ কীভাবে দেখছে কাবুল পরিস্থিতি। মন্ত্রী এই প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি। এর আগে পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছিল, বাংলাদেশ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।কাবুল বিমানবন্দরে ভয়াবহ হামলার ব্যাপারেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি বাংলাদেশ।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বাংলাদেশি কূটনীতিক বলেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এখনো টালমাটাল। তাছাড়া সেখানে এখনো কোনো সরকার গঠিত হয়নি। আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী সরকার গঠনের পর স্বীকৃতির প্রশ্ন আসে। আগে সরকার গঠন হোক, তারপর দেখা যাবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তরফেও একই নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।

এই কূটনীতিক ১৯৯৬ সনে গঠিত তালিবান সরকারের কথা স্মরণ করেন। বলেন, সেই সরকারকে তিনটি মাত্র দেশ স্বীকৃতি দিয়েছিল।এরমধ্যে ছিল পাকিস্তান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব-আমিরাত।তাই বাংলাদেশ তাড়াহুড়ো করবে না।দেখবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রভাবশালী দেশগুলো কি সিদ্ধান্ত নেয়।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাবুল পরিস্থিতি নিয়ে কোনো কথা না বললেও সেখানে আটকে পড়া ১৫ জন বাংলাদেশির ভাগ্য নিয়ে কথা বলেছেন। তার ভাষায়, যতটুকু জেনেছি- তারা সুস্থ আছেন, নিরাপদে আছেন। আমরা তাদেরকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলেছি।

উল্লেখ্য যে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার ব্যবস্থাপনায় একটি বিশেষ ফ্লাইট ১৬০ জন আফগান শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশি ১৫ জনকে নিয়ে কাবুল বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা ছিল।চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের শিক্ষার্থীরা ছুটিতে আফগানিস্তান গিয়েছিলেন।যথারীতি বাংলাদেশিসহ তারা সবাই বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন।এরমধ্যে বিমানবন্দরের বাইরে ভয়াবহ জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর সব ওলটপালট হয়ে যায়।আফগান শিক্ষার্থীরা নিজ আবাসস্থলে ফিরে যান।আর বাংলাদেশিরা নিরাপদ স্থান বেছে নেন।

তালিবানের তরফে আফানিস্তানে একটি সমন্বিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে যতগুলো জাতিগোষ্ঠী বা সম্প্রদায় রয়েছে, তাদের সবার অংশগ্রহণ থাকবে এই সরকারে।

XS
SM
MD
LG