বুধবার ছাত্র বিক্ষোভে রাজধানী ঢাকা চতুর্থ দিনের মতো কার্যত অচল হয়ে পড়ে। এতে করে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। বাস চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদ জানাতেই ছাত্ররা রাস্তায় নেমে আসে। অন্তত ২০টি পয়েন্টে ছাত্ররা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এ সময় দু’জন মন্ত্রী তোপের মুখে পড়েন। বিক্ষোভের আগাম খবরে মঙ্গলবার অঘোষিতভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতেও কোন কাজ হয়নি। ছাত্রদের অভিভাবকরাও বিক্ষোভে যোগ দেন। ছাত্র বিক্ষোভ হয়েছে চট্টগ্রাম, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, ময়মনসিংহ ও বরিশালে।
অল্প আগের খবর: আগামীকাল সরকারিভাবে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রী ও শ্রমিক পরিবহন নেতা শাহজাহান খানের পদত্যাগের দাবি ছিল অন্যতম। যদিও শাহজাহান খান ক্ষমা চেয়েছেন। পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বুয়েটের ছাত্র-ছাত্রীরা এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানায়। শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে নয় দফা দাবি নিয়ে এই আন্দোলন করছে। এ সম্পর্কে শহীদ রমিজউদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থী সাঈদ বলছিলেন যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দাবি-দাওয়া মেনে না নেয়া হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। গত রোববার এই কলেজেরই দুই শিক্ষার্থী বাস চাপায় নিহত হন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে মন্ত্রীরা সচিবালয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন। দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী জাবালে নূর পরিবহনের মালিক শাহাদাৎ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর প্রতিবেদন।