বাংলাদেশে তৈরী পোশাক শিল্প কারখানায় কাজের পরিবেশ, শ্রমিকদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে যখন সরকার, মালিকপক্ষ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখছে, তারই মাঝে বিভিন্ন বিদেশী প্রতিষ্ঠান, সংগঠন বাংলাদেশ ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো, কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে অভিযান শুরু করেছে ।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংগঠন ইউনাইটেড স্টুডেন্টস্ এগেনস্ট সোয়েটশপ এমনি এক সংগঠন। তাদেরই এক সদস্যের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন রোকেয়া হায়দার
বাংলাদেশে সাভারে রানা প্লাজা ধ্বসে পড়ে ১১শোরও বেশী মানুষের প্রানহানির পর থেকে আজকাল আমেরিকার বিভিন্ন শহরে পত্রপত্রিকায় বাংলাশে তৈরী পোশাক শিল্প ক্ষেত্রে দেশের সরকার ও মালিকপক্ষের কি করণীয়, ইওরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশী ক্রেতাদের দায়দায়িত্ব, শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন প্রসঙ্গে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। যেমন আজকের ওয়াশিংটন পোস্টেই ব্র্যাড প্লুমারের লেখা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে – আমেরিকার প্রায় সব পোশাক কোম্পানী মামলা মোকদ্দমার আশংকা তুলে ধরে একটি আন্তর্জাতিক আইন স্বাক্ষর করেনি। আর ওই আইনটিই বাংলাদেশের মত দেশ, যেখানে পোশাক কারখানায় খুবই কম মজুরীতে শ্রমিকরা কাজ করে, সে ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এক সংস্কার সাধন সম্ভব হতো।
ওয়াল মার্ট, গ্যাপ, টার্গেট এবং জে সি পেনির মত কোম্পানীর ওপর শ্রমিক গ্রুপের চাপ সত্ত্বেও তারা স্বাক্ষর করেনি। অথচ ইওরোপের ডজনখানেক কোম্পানী ওই চুক্তি সই করেছে। ওয়াল মার্টের ওপর অনেক বেশী চাপ দেওয়া হয় কারণ এই কোম্পানী সবচাইতে বড় ক্রেতার অন্যতম।
বাংলাদেশে অনেক ছোট ছোট শিল্প কারখানা রয়েছে যাদের জন্য বিদেশী কোম্পানীর দায়িত্ব পূরণের নিশ্চয়তা বিধানকারী এই চুক্তি খুবই প্রয়োজন। তাই আমেরিকায় সচেতন নাগরিকদের বিভিন্ন গ্রুপ লাভজনক প্রতিষ্ঠানের কর্তব্য সম্বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে। এমনি এক সংগঠন হলো নিউইয়র্ক ভিত্তি স্টুডেন্টস এগেনস্ট সোয়েটশপ। এই সংগঠনের সদস্য আঞ্চলিক সংগঠক কেটলিন ম্যাকলারেন ও সংগঠনের আন্তর্জাতিক অভিযান সমন্বয়কারী গ্যারেল স্ট্রেন জানান যে, বাংলাদেশ থেকে ইওরোপের দুটি প্রধান তৈরী পোশাক ক্রেতা এইচ এ্যাণ্ড এম ও ইন্ডিটেক্স ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যাতে বলা হয়েচে যে তারা শিল্প কারখানা ভবনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করে যে চুক্তি তা পালন করবে। এই চুক্তির অধীনে বড় বড় ক্রেতারা নিরাপদ কারখানা ব্যবস্থার জন্য বাড়তি অর্থ দেবে। কেন তারা এই অভিযান শুরু করলেন, এ প্রশ্নের জবাবে কেটলিন বলেন - ‘আমরা যে কোন দেশে পোশাক তৈরী হয় সেখানকার পরিস্থিত নিয়ে চিন্তিত। কি ধরণের পরিবেশে পোশাক তৈরীর কাজ চলছে সেটা আমাদের চিন্তার বিষয়’। কেটলিন বলেন –‘বর্তমানে আমরা গ্যাপের মত প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে অভিযান শুরু করছি। গ্যাপ বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমানে তৈরী পোশাক কিনছে তাই তাদের বড় একটা দায়িত্ব আছে’।
কেটলিন উল্লেখ করেন যে, ক্রেতারা যাতে এ কথা উপলব্ধি করে যে যে সব বিকাশমুখী দেশ থেকে খুবই অল্প দামে তারা পণ্য সামগ্রী কিনছে, সেখানে কাজের পরিবেশের উন্নতি ও শ্রমিকদের পারিশ্রমিক বাড়ানোর ক্ষেত্রে তাদেরও কিছু করণীয় রয়েছে। তিনি বলেন ইওরোপের কয়কটি কোম্পানী আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কিন্তু দুঃখের বিষয়ে যে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানী তা করেনি, ‘ইওরোপীয় প্রতিষ্ঠান স্বাক্ষর করলেও, দুঃখের বিষয় যে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানী এখনও কিছু করেনি। তাই আমাদের অনেক কাজ বাকী রয়েচে। তাদের বোঝাতে হবে যে চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে – ‘গত সপ্তাহে আমরা গ্যাপের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছি। অনেক শহরে গ্যাপের দোকানের সামনে, নিইয়র্ক সিটি, সিয়াটেল, লস এঞ্জেলেস, বস্টন, সব শহরে গিয়ে আমরা একথা তুলে ধরেছি যে এদেশের ভোক্তা সাধারণ খুবই উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবে তারা উদ্বিগ্ন’।
তারা বাংলাদেশের কোন কর্মকর্তা বা পোশাক শিল্পের কোন সদস্যের সঙ্গে আলোচনা যোগাযোগ করেছেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে কেটলিন জানান – ‘আমরা বাংলাদেশে শ্রমিক গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা একজন শিল্প শ্রমিককে এখানে এনেছিলাম তিনি তাজরীন কারখানায়র অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ১৫০টি কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের এই সংগঠন সারা দেশে বাংলাদেশের শ্রমিকদের সাহায্যের জন্য কি করণীয় সে বিষযে সচেতনতা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংগঠন ইউনাইটেড স্টুডেন্টস্ এগেনস্ট সোয়েটশপ এমনি এক সংগঠন। তাদেরই এক সদস্যের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন রোকেয়া হায়দার
বাংলাদেশে সাভারে রানা প্লাজা ধ্বসে পড়ে ১১শোরও বেশী মানুষের প্রানহানির পর থেকে আজকাল আমেরিকার বিভিন্ন শহরে পত্রপত্রিকায় বাংলাশে তৈরী পোশাক শিল্প ক্ষেত্রে দেশের সরকার ও মালিকপক্ষের কি করণীয়, ইওরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশী ক্রেতাদের দায়দায়িত্ব, শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন প্রসঙ্গে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। যেমন আজকের ওয়াশিংটন পোস্টেই ব্র্যাড প্লুমারের লেখা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে – আমেরিকার প্রায় সব পোশাক কোম্পানী মামলা মোকদ্দমার আশংকা তুলে ধরে একটি আন্তর্জাতিক আইন স্বাক্ষর করেনি। আর ওই আইনটিই বাংলাদেশের মত দেশ, যেখানে পোশাক কারখানায় খুবই কম মজুরীতে শ্রমিকরা কাজ করে, সে ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এক সংস্কার সাধন সম্ভব হতো।
ওয়াল মার্ট, গ্যাপ, টার্গেট এবং জে সি পেনির মত কোম্পানীর ওপর শ্রমিক গ্রুপের চাপ সত্ত্বেও তারা স্বাক্ষর করেনি। অথচ ইওরোপের ডজনখানেক কোম্পানী ওই চুক্তি সই করেছে। ওয়াল মার্টের ওপর অনেক বেশী চাপ দেওয়া হয় কারণ এই কোম্পানী সবচাইতে বড় ক্রেতার অন্যতম।
বাংলাদেশে অনেক ছোট ছোট শিল্প কারখানা রয়েছে যাদের জন্য বিদেশী কোম্পানীর দায়িত্ব পূরণের নিশ্চয়তা বিধানকারী এই চুক্তি খুবই প্রয়োজন। তাই আমেরিকায় সচেতন নাগরিকদের বিভিন্ন গ্রুপ লাভজনক প্রতিষ্ঠানের কর্তব্য সম্বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে। এমনি এক সংগঠন হলো নিউইয়র্ক ভিত্তি স্টুডেন্টস এগেনস্ট সোয়েটশপ। এই সংগঠনের সদস্য আঞ্চলিক সংগঠক কেটলিন ম্যাকলারেন ও সংগঠনের আন্তর্জাতিক অভিযান সমন্বয়কারী গ্যারেল স্ট্রেন জানান যে, বাংলাদেশ থেকে ইওরোপের দুটি প্রধান তৈরী পোশাক ক্রেতা এইচ এ্যাণ্ড এম ও ইন্ডিটেক্স ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যাতে বলা হয়েচে যে তারা শিল্প কারখানা ভবনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করে যে চুক্তি তা পালন করবে। এই চুক্তির অধীনে বড় বড় ক্রেতারা নিরাপদ কারখানা ব্যবস্থার জন্য বাড়তি অর্থ দেবে। কেন তারা এই অভিযান শুরু করলেন, এ প্রশ্নের জবাবে কেটলিন বলেন - ‘আমরা যে কোন দেশে পোশাক তৈরী হয় সেখানকার পরিস্থিত নিয়ে চিন্তিত। কি ধরণের পরিবেশে পোশাক তৈরীর কাজ চলছে সেটা আমাদের চিন্তার বিষয়’। কেটলিন বলেন –‘বর্তমানে আমরা গ্যাপের মত প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে অভিযান শুরু করছি। গ্যাপ বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমানে তৈরী পোশাক কিনছে তাই তাদের বড় একটা দায়িত্ব আছে’।
কেটলিন উল্লেখ করেন যে, ক্রেতারা যাতে এ কথা উপলব্ধি করে যে যে সব বিকাশমুখী দেশ থেকে খুবই অল্প দামে তারা পণ্য সামগ্রী কিনছে, সেখানে কাজের পরিবেশের উন্নতি ও শ্রমিকদের পারিশ্রমিক বাড়ানোর ক্ষেত্রে তাদেরও কিছু করণীয় রয়েছে। তিনি বলেন ইওরোপের কয়কটি কোম্পানী আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কিন্তু দুঃখের বিষয়ে যে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানী তা করেনি, ‘ইওরোপীয় প্রতিষ্ঠান স্বাক্ষর করলেও, দুঃখের বিষয় যে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানী এখনও কিছু করেনি। তাই আমাদের অনেক কাজ বাকী রয়েচে। তাদের বোঝাতে হবে যে চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে – ‘গত সপ্তাহে আমরা গ্যাপের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছি। অনেক শহরে গ্যাপের দোকানের সামনে, নিইয়র্ক সিটি, সিয়াটেল, লস এঞ্জেলেস, বস্টন, সব শহরে গিয়ে আমরা একথা তুলে ধরেছি যে এদেশের ভোক্তা সাধারণ খুবই উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবে তারা উদ্বিগ্ন’।
তারা বাংলাদেশের কোন কর্মকর্তা বা পোশাক শিল্পের কোন সদস্যের সঙ্গে আলোচনা যোগাযোগ করেছেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে কেটলিন জানান – ‘আমরা বাংলাদেশে শ্রমিক গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা একজন শিল্প শ্রমিককে এখানে এনেছিলাম তিনি তাজরীন কারখানায়র অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ১৫০টি কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের এই সংগঠন সারা দেশে বাংলাদেশের শ্রমিকদের সাহায্যের জন্য কি করণীয় সে বিষযে সচেতনতা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে।