বাংলাদেশের ১১ জন শীর্ষ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনায় সম্পাদক পরিষদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার পরিষদ এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগের কথা জানিয়ে বলেছে সম্প্রতি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট বা বিএফআইইউ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সাংবাদিকদের শীর্ষ চার সংগঠনের ১১ নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে সম্পাদক পরিষদ মনে করে প্রচলিত আইনে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত হতে পারে। কিন্তু, শুধু মাত্র একটি পেশার ১১ জন শীর্ষ নেতার ঢালাওভাবে ব্যাংক হিসাব তলব উদ্দেশ্যমূলক।
অতীতে কখনো কোনও পেশার ক্ষেত্রে এমনটি ঘটেনি বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। সম্পাদক পরিষদ এ ঘটনাকে স্বাধীন সাংবাদিকতা পেশার ওপর চাপ ও হুমকি বলে মনে করছে। সম্পাদক পরিষদের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি মাহ্ফুজ আনাম ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।
এদিকে, পৃথক এক বিবৃতিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল বা জেএসডি'র সভাপতি আ স ম আবদুর রব সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলব করার পদক্ষেপে গভীর উদ্বেগ এবং তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ও প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠনের নির্বাচিত শীর্ষ নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনাকে অস্বাভাবিক, পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলক আখ্যায়িত করে তিনি বলেছেন এটা সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে নিয়ন্ত্রণের অজুহাত। জেএসডি নেতা বলেন রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ 'গণমাধ্যমে'র স্বার্থ রক্ষা ও অধিকার আদায়ে সংগ্রামরত সংগঠনগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতার উপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করার এই অপকৌশলকে অবশ্যই প্রতিহত করতে হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশের ১১ জন সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করে বিএফআইইউ। সংস্থাটি দেশের সকল ব্যাংকের কাছে লেখা এক চিঠিতে গত সোমবারের মধ্যে তাঁদের ব্যাংক হিসাবের সকল তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল।
তালিকায় থাকা এই ১১ জন সাংবাদিক নেতারা হলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বা ডিইউজে'র একাংশের সভাপতি আব্দুল কাদের গণি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ শহিদুল ইসলাম, ডিইউজে'র আরেক অংশের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বা বিএফইউজে'র একাংশের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, বিএফইউজে'র অপর অংশের সভাপতি মোল্লা জালাল ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল মজিদ এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি বা ডিআরইউ'র সভাপতি মোরসালীন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।