অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বৈরুতের বিস্ফোরণে ৪ জন বাংলাদেশী নিহত এবং প্রায় ১০০ জন আহত


লেবাননের বৈরুতের বিস্ফোরণে নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রাসেল মিয়া এবং কুমিল্লার রেজাউল সিকদারের বাড়িতে এখন রক্তের-স্বজনের জীবন হারানোর সমস্ত বেদনা-বিষাদ জমাট বেধেছে। বাড়ি জুড়েই শুধু বিলাপ আর আহাজারি। বৈরুতের বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ৪ জন বাংলাদেশী নিহত এবং প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ২৩ বছর বয়সী রাসেল মিয়ার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার গাজীসার গ্রামে। নিহত রাসেল মিয়ার বড় ভাই সাদেক মিয়াও দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে বৈরুতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহত রাসেল মিয়া এবং আহত সাদেক মিয়ার বাবা মোর্শেদ মিয়া ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বৈরুতে পেট্রোল পাম্পে কাজ করেছেন।

বর্তমানে গ্রামের বাড়িতে বসবাসরত মোর্শেদ মিয়া ভয়েস অফ আমেরিকাকে জানান, নিহত রাসেল শরীরে কাচের টুকরায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে মারা গেছেন। আর তার অপর সন্তান সাদেকও সারা শরীরে কাচের টুকরার আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। মোর্শেদ মিয়া জানান, নিহত রেজাউল তার আপন ভাগ্নে। তার পরিবারের অন্তত ১৬ জনই বর্তমানে বৈরুতে অভিবাসী কর্মী হিসেবে বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে কর্মরত। তাদের গ্রামের অন্তত ২০০ জন বৈরুতে বর্তমানে কর্মরত আছেন। বাকীদের সবাই ভালই আছেন।

নিহত রেজাউল সিকদারের বাড়ি কুমিল্লার মাধবপুরে। তার বাবা গনি সিকদার। পুত্র হারানোর শোকে কথা বলার অবস্থায় নেই রেজাউল সিকদারের বাবা ও মা। রেজাউলের বোন লিমা আক্তার জানান, রেজাউলের জন্য মেয়ে দেখে আংটিও পরানো হয়েছিল। দেশে আসলেই বিয়েটা সেরে ফেলার কথা ছিল রেজাউল সিকদারের।
নিহত রাসেল মিয়া এবং রেজাউল সিকদারের পরিবারের সদস্যরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিহতদের মরদেহ দেশে আনার দাবি জানিয়েছেন। ঢাকায় কর্মকর্তারা বলেছেন, আগামী সপ্তাহ নাগাদ মরদেহ দেশে আনার চেষ্টা চলছে।

please wait

No media source currently available

0:00 0:03:28 0:00


XS
SM
MD
LG