অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে অং সান সুচি সেনাদের পক্ষে কথা বলবেন


হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমার নেত্রী অং সান সুচি সেনাদের পক্ষেই ওকালতি করবেন। বলবেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী কোন গণহত্যা চালায়নি। বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়নি। ধর্ষণ ও লুট করেনি। জাতিসংঘের এই সর্বোচ্চ আদালতের এখতিয়ারই বা কতটুকু? মিয়ানমারের স্থানীয় মিডিয়া এ রকম ইঙ্গিতই দিয়ে যাচ্ছে। ঢাকায় ওয়াকিবহাল কূটনীতিকরাও একই মনোভাব পোষণ করছেন।

আগামী মঙ্গলবার হেগে বসছে এই আদালত। টানা তিন দিন চলবে রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে যুক্তিতর্ক। এক সময় অং সান সুচিকে মানবাধিকারের হিরোইন আখ্যা দিয়েছিল পশ্চিমা দুনিয়া। সেই সুচি সেনাবাহিনীর নৃশংসতার পক্ষে নানা যুক্তি উপস্থাপন করবেন। সুচি বলেছেন, জাতীয় স্বার্থের পক্ষ নেয়াই তার মুখ্য উদ্দেশ্য। মজার ব্যাপার হচ্ছে, একদিন যারা তাকে ক্ষমতার বাইরে রাখার জন্য বছরের পর বছর গৃহবন্দি করে রেখেছিল তাদের পক্ষে সাফাই গাইবেন। ১৪ সদস্যের বিচারক প্যানেলের সামনে অং সান সুচি কি বলবেন এ নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহল ছিল। কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে ততই পরিস্কার হচ্ছে তার অবস্থান। আগামী বছর মিয়ানমারে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে সুচি তার কৌশল ঠিক করছেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

অক্সফোর্ডে লেখাপড়া করেছেন অং সান সুচি। আইনের কোন ডিগ্রি নেই তার। এই অবস্থায় তিনি হেগে যাচ্ছেন কেন? যেখানে তার প্রতিপক্ষ পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। এতে সমর্থন রয়েছে ৫৭ জাতির সংগঠন ওআইসির। তাছাড়া গাম্বিয়ার পক্ষে লড়বেন বৃটিশ শিক্ষায় শিক্ষিত আইনমন্ত্রী আবুবাকর তামবাদাউ। ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডায় গণহত্যা মামলায় এক দশকের বেশি সময় লড়াই করেছেন। গাম্বিয়ার এই মন্ত্রী ইতোমধ্যেই বলেছেন, ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের খতম করার জন্য সেনাবাহিনী নৃশংসতা শুরু করে। এর ফলে বাধ্য হয়ে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে আসে। এদের কাছ থেকে নৃশংসতার যে কাহিনী বিশ্ব শুনেছে তাতে নিশ্চিত গণহত্যার আলামত ছিল।

গাম্বিয়ার এই মন্ত্রীর পরিকল্পনা রয়েছে যে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের জন্য বিচারকরা যাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেন। তিনি আদালতকে প্রমাণ সংরক্ষণ করতে বলবেন। যা গণহত্যা মামলায় আলামত হিসেবে সহায়ক হবে।

please wait

No media source currently available

0:00 0:02:05 0:00



XS
SM
MD
LG