অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির কড়া সমালোচনা করা হয়েছে


যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২০১৯ সালের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির কড়া সমালোচনা করা হয়েছে।

বুধবার সারা বিশ্বের জন্য প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অধ্যায়ে বলা হয়েছে দেশটিতে ২০১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর যে সংসদ নির্বাচন হয়েছে তাকে অবাধ ও সুষ্ঠু বিবেচনা করা যায় না। বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য সীমাবদ্ধতার উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সংবিধানে সংবাদ মাধ্যমসহ মিডিয়াকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়া হলেও অনেক ক্ষেত্রেই সরকার এই অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে।

২০১৯ সালে ঘটে যাওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন ঘটনাসমূহের উল্লেখ করে এতে বলা হয়েছে, সরকার বা সরকারের পক্ষে বেআইনিভাবে এবং মর্জিমাফিক হত্যাকাণ্ড, জোর পূর্বক গুম, নির্যাতন, খেয়ালখুশি মতো অথবা অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।

এতে বলা হয়েছে নির্যাতন বা নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা ব্যাপক দায়মুক্তি পান এবং তাদের বিরুদ্ধে নামমাত্র তদন্ত ও বিচার করা হয়। নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও মানব পাচারের মত অপরাধ অব্যাহত রয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয় স্বাধীনভাবে আন্দোলন করার বিষয়ে রয়েছে উল্লেখযোগ্য বিধিনিষেধ।

please wait

No media source currently available

0:00 0:00:54 0:00

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২০১৯ সালের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বাংলাদেশের সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, কেবল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোই নয়, সুশীল সমাজকেও সতর্কভাবে কথা বলতে হয়। আর তা না করলে সভা সমাবেশ করার অনুমতি মেলে না বাংলাদেশে। ওয়াশিংটন স্টুডিও থেকে তার সঙ্গে কথা বলেন সহকর্মী তাওহীদুল ইসলাম।

please wait

No media source currently available

0:00 0:04:20 0:00


XS
SM
MD
LG