করোনা আতঙ্কে যাত্রী সংকটে পড়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। এর ফলে বাতিল হচ্ছে ফ্লাইট। বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ফ্লাইটের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। বিশেষ করে বেশি প্রভাব পড়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে।
যাত্রী সংকটের কারণে গত দু’দিনে বাংলাদেশ বিমানের দিল্লিগামী দু’টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় দিল্লিগামী ফ্লাইটে যাত্রী ছিল মাত্র ২৬ জন। বিমান কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত ফ্লাইটটি বাতিল করেন। ঢাকা-কুয়ালালামপুর ফ্লাইটও বাতিল করা হয় একই কারণে। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে প্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলোর যাত্রী সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। চায়না ইস্টার্ন তাদের ঢাকা রুটে সকল ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যগামী কোন ফ্লাইট বন্ধ করার আপাতত কোন পরিকল্পনা নেই। এমনিতেই যাত্রীদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করছে।
ওদিকে ইতালির পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটায় বাংলাদেশীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অসমর্থিত খবর, ভেনিস শহরে একজন বাংলাদেশী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সর্বশেষ খবরে জানা যায়, ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫০ জন। বেশি আক্রান্ত বোল্লা শহরে। লম্বারদিয়া শহরেও আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এই শহরে থাকেন বাংলাদেশী রীনা ফারদিন। একটি হোটেলে চাকরি করেন। অল্প আগে তার সঙ্গে কথা হয়। তার মুখেই জানা যাক সেখানকার পরিস্থিতি।