অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চট্টগ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই জনের মৃত্যু


বাংলাদেশের চট্টগ্রামে সর্দি, কাশি, জ্বরসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে আরো দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন সীতাকু- উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার এবং অপর একজন ১৬/১৭ বছর বয়সী যুবক। মারা যাওয়া ঐ মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার চট্টগ্রামে জেনারেল হাসপতালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসুলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। অপরদিকে ঐ যুবক নিউমোনিয়ার লক্ষণ নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মারা যায়। তার বাড়ি চট্টগ্রামে আনোয়ারার বারখাইন ইউনিয়নে। রাতে স্থানীয় প্রশাসন মারা যাওয়া ঐ যুবকের বাড়ি লকডাউন করেছে। স্বাস্থ্য দফতর এই দুই জনের নমুনা চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে পরীক্ষায় পাঠিয়েছে।

এদিকে শনিবার ৬৭ বছর বয়সী ব্রঙ্ককাইটিস রোগীর শরীরে কোভিড-১৯ সনাক্ত হওয়ার পর এবার তার ছেলের শরীরেও করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পেয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। ঐ ছেলে চট্টগ্রামের খুলশী এলাকার একটি সুপার শপে কর্মরত ছিল। স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তারা ঐ সুপারশপটি বন্ধ করে দিয়ে সেখানে কর্মরত ৯৮জনকে কোয়ারেন্টাইনের পাঠিয়েছে।

এদিকে ভোরে চট্টগ্রামের টাইগারপাস এবং চকবাজার এলাকায় এক গার্মেন্টস কর্মী এবং অপর এক রিকশা চালক হঠাৎ করে রাস্তায় পড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। শহর জুড়ে সুনসান নিরবতার মধ্যে রাস্তায় এই দুই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় কৌতুহল তৈরী হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, স্ট্রোকে এই দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।

লকডাউন পরিস্থিতিতে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে যারা রাস্তায় বেরিয়েছেন এবং রাস্তায় বের হওয়া লোকজন যারা যৌক্তিক কারন দেখাতে পারেননি তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী। এসময় ৬৩টি মামলায় সোয়া তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।

এদিকে সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ওষুধের দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে চট্টগ্রামের পুলিশ প্রশাসন। মহানগরীর বাইরে বিকেল ৫টার মধ্যে দোকান পাঠ বন্ধের নির্দেশ জারি করে জেলা প্রশাসন।

XS
SM
MD
LG