বাংলাদেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ছাত্র ও শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে মিছিল-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন। উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পটভূমিতে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের অবিলম্বে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। বুধবার যথারীতি মিছিল-সমাবেশ চলতে থাকলে রাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে মিছিল-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপরও বৃহস্পতিবার সকালে ‘আমাদের ক্যাম্পাস, আমাদের অধিকার, ক্যাম্পাস রক্ষা করুন, লড়াইয়ে যোগ দিন’ এই স্লোগানে মুখরিত থাকে ক্যাম্পাস।
এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কড়া হুঁশিয়ারি দেন। বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভিসির দুর্নীতি নিয়ে আন্দোলন করছেন, নিশ্চয়ই তাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে। তারা যদি অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হন তাহলে তাদেরও সাজা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীদের নেতা দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত অডিও-ভিডিও পরীক্ষা করলেই দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যাবে। তাছাড়া প্রমাণের দায়িত্ব তো আমাদের নয়। আমরা তো তদন্ত করতে বলেছি।
বিকেল থেকে ভিসির বাসভবনের সামনে এক ব্যতিক্রমী কনসার্টের আয়োজন করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কনসার্ট চলছিল। বিপুল সংখ্যক পুলিশ পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছে।