নজরদারী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি এক বিবৃতিতে বলেছে, সোয়া ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনের কারণেই সম্প্রতি বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের শক্তি হ্রাস পেয়েছে এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা আশংকার চেয়ে কম হয়েছে। কাজেই বাংলাদেশের স্বার্থেই সুন্দরবন সুরক্ষার জন্য কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি। সাথে সাথে টিআইবি বলেছে, বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন ’সুন্দরবন’ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ পরিবেশবিনাশী শিল্পায়ন প্রক্রিয়ার কারণে। এই প্রক্রিয়া বন্ধ করারও আহবান জানিয়েছে টিআইবি।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল পরবর্তী সময়ে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকগণ বলছেন, অতীতের ঝড়-জ্বলোচ্ছাসের মতো ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ক্ষেত্রেও প্রাকৃতিক সুদৃঢ় ঢাল বা বর্ম হিসেবে কাজ করেছে সুন্দরবন। এ সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং সুন্দরবন বিষয়ক বিশিষ্ট গবেষক ও বিশ্লেষক ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী।