নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার ও সাম্প্রদায়িকতা নিষিদ্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ ধর্মীয় উপসনালয়কে নির্বাচনী কর্মকান্ডের বাইরে রাখার তাগিদ দিয়েছেন। শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নাগরিক সমাজের আয়োজনে জাতীয় নির্বাচন, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তারা এই মত দেন। মানবাধিকার কর্মী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে-পরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসন ও পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে।
‘নিজেরা করি’র সমন্বয়ক খুশি কবির বলেন, যেসব রাজনৈতিক দলের সদস্যরা সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন-নির্যাতন করেছে তাদের মনোনয়ন দেয়া যাবে না। তিনি বলেন, নির্বাচনে দল দেখে নয় বরং যে সব প্রার্থী সংখ্যালঘুদের পাশে থাকবে তাদেরকে ভোট দিতে হবে। ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, দেশের প্রায় শতকরা ১২ ভাগ ভোটার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। এরপরও কোন রাজনৈতিক দলই তাদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন নয়। আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এ,এল,আর,ডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলকে অঙ্গীকার করতে হবে, যে সকল নেতার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে মনোনয়ন দেয়া যাবে না।