অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কুষ্টিয়ায় শাসক দলের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগের হামলার শিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান


কুষ্টিয়ায় শাসক দলের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান । কেন এই হামলা? ছাত্রলীগ বলছে, মাহমুদুর রহমানের সাহস কত বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা সম্পর্কে মন্তব্য করে ? গত বছর ১লা ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার কড়া সমালোচনা করেন । এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মানহানির মামলা হয় । কুষ্টিয়ায় মামলা করেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তুষার আহমেদ । মাহমুদুর রহমান রোববার গিয়েছিলেন এই মামলায় জামিনের আর্জি জানাতে । সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম এম মুর্শেদ উভয় পক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনে তার জামিন মঞ্জুর করেন । এ সময় বাদী তুষার আহমেদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ৫০-৬০ জন কর্মী আদালত চত্বর ঘেরাও করে । এক পর্যায়ে মারমুখি হয়ে উঠলে ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুর রহমানকে আদালতেই অবস্থান নেয়ার পরামর্শ দেন । বলেন, তিনি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছেন । এভাবে ঘণ্টা দুয়েক চলার পর ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ প্রটেকশনে মাহমুদুর রহমানকে আদালত প্রাঙ্গন ত্যাগের নির্দেশ দেন । এরপর পুলিশের দেয়া গাড়িতে করে তিনি যখন আদালত প্রাঙ্গন ছেড়ে যাচ্ছিলেন তখনই ছাত্রলীগ হামলা চালায় । এতে করে মাহমুদুর রহমানের মাথা ফেটে যায় । রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে এম্বুলেন্সে করে যশোরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । এরপর তাকে বিমানে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় । এখন তার চিকিৎসা চলছে । মাহমুদুর রহমান হামলা সম্পর্কে এই সংবাদদাতাকে বলেন, তার প্রাণনাশের জন্যই হামলা করা হয় ।

মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা সম্পর্কে প্রবীণ সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বলেন, নিন্দা জানানোর কোনো ভাষা আমার জানা নেই । কোর্ট-কাচারিও এখন দেখছি নিরাপদ নয় ।

উল্লেখ্য যে, এই সরকারের আমলে মাহমুদুর রহমান ৫ বছর জেলে ছিলেন । তার বিরুদ্ধে ১২৫টি মামলা রয়েছে । ৩৮ দিন তাকে পুলিশি রিমান্ডে রাখা হয়েছিল । এক সরকারি আদেশে বর্তমানে আমার দেশ বন্ধ রয়েছে । রিপোর্ট পাঠিয়েছেন এসব নিয়ে ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী ।

please wait

No media source currently available

0:00 0:03:16 0:00

XS
SM
MD
LG