বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এইচ মাহমুদ আলী বুধবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকট প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন অনেক বেশীভাবে বাংলাদেশকে সমর্থন দিচ্ছে। রাশিয়া এবং চীন মিয়ামারের পক্ষে আছে, বাংলাদেশের পক্ষে নেই-এমন ধারণা সঠিক নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রয়োজন এই দুই দেশে বাংলাদেশ বিশেষ দূত পাঠাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ২৩ অক্টোবরের মিয়ানমার সফরে দুটো বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। কর্মকর্তারা বলছেন, এর একটি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রশ্নে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের রূপরেখা সংক্রান্ত।
এদিকে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ স্যাটেলাইট ইমেজের ভিত্তিতে এক প্রতিবেদনে বলেছে, মিয়ানমার ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ২৮৮টি গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন উখিয়ার আনজুমান পাড়া এবং আশেপাশের নোম্যান্সল্যান্ড এলাকায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ প্রত্যাশী আটকেপড়া শরনার্থীর সংখ্যা বুধবার বিকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার হয়েছে বলে স্থানীয়রা বলছেন। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এই সংখ্যা ২০ হাজারের মতো ছিল। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এদের বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে কিনা সে প্রশ্নে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন। ঢাকা থেকে আমীর খসরু'র রিপোর্ট।