অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চুয়েট শিক্ষার্থীদের বানানো মডেলে নতুন ধরনের পশুর হাট!


এ প্রকল্পে বাংলাদেশ এর ঐতিহ্যগত হাটকে নতুনভাবে চিন্তা করা হয়েছে, যেখানে সামাজিক দূরত্ব, হাত ধোঁয়া ও জীবাণুমুক্তকরণের মত বিধিগুলো ডিজাইনকে ধাবিত করেছে।

আগামী ১ আগস্ট বাংলাদেশ এ পালন করা হবে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা। এ বছর ঈদ-উল-ফিতর এর মত ঈদ-উল-আজহা পালনেও মানুষ মুখোমুখী হতে যাচ্ছে নতুন অভিজ্ঞতার। সাধারণত ঈদ-উল-আজহার পূর্ববর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন হাটগুলোতে পশু ক্রয়-বিক্রয় এর উদ্দ্যেশ্যে লাখো মানুষ জড়ো হয়ে থাকেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে এবারের হাটগুলো হতে পারে ভাইরাস সংক্রমনের অন্যতম এলাকা। তাই ভাইরাসের সংক্রমনের ভয়ে বাংলাদেশ এর বেশিরভাগ মানুষ অংশ ভয় পাচ্ছেন পশু কোরবানীতে। আবার অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু কোরবানীতে আগ্রহী হলেও উদ্বিগ্ন পশু কেনা-বেচার প্রক্রিয়া নিয়ে।

এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) তরুণ শিক্ষার্থীরা একটি নতুন ধরনের হাটের পরিকল্পনা করেছেন, যেখানে সাধারন স্বাস্থবিধি মেনে চলে হাটের কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব। করতে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ ইমাম বাকের এর উদ্যোগে, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহান আরিফ রহমান ও তাসফিয়া তাসনিম এমনই এক হাটের কথা চিন্তা করেছেন।

এ প্রকল্পে বাংলাদেশ এর ঐতিহ্যগত হাটকে নতুনভাবে চিন্তা করা হয়েছে, যেখানে সামাজিক দূরত্ব, হাত ধোঁয়া ও জীবাণুমুক্তকরণের মত বিধিগুলো ডিজাইনকে ধাবিত করেছে। এখানে গরুর ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের জন্য থাকছে সুনির্দিষ্ট জায়গা যেন তাদের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব। চলাচলের পথে যেন কোন বাঁধার সৃষ্টি না হয় এজন্য ক্রেতাদের গরু পর্যবেক্ষনের জন্য প্রদান করা হয়েছে বিশেষ জায়গা। হাটে আসা পশুগুলোকে রাখা হবে নির্দিষ্ট সংখ্যক আয়তাকার মডিউলের ভেতর, যেগুলো নালা দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকবে, যেন চলাচলের পথের সাথে পশু রাখার স্থানের পরিস্কার পার্থক্য থাকে এবং পথগুলো যেন শুকনো থাকে। প্রত্যেক মডিউলের কেন্দ্রীয় স্থানে দূর দুরান্ত থেকে আসা পশু বিক্রেতারা অবস্থান করতে পারবেন, রাখতে পারবেন পশুর জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী।

এছাড়াও হাটে হাত ধোয়ার জন্য প্রত্যেক মডিউলে থাকছে নির্দিষ্ট জায়গা। হাটে মানুষ জীবাণুমুক্তকরণ চেম্বার পার করেই প্রবেশ করতে পারবেন যেখানে মাস্ক অবশ্যই বাধ্যতামূলক। প্রকল্পের তত্ববাধনে থাকা ব্যক্তিরা মনে করছেন, ১৩০০ বর্গফুটের এ মডিউলগুলো দেশের যে কোন হাটে বাস্তবায়ন করা সম্ভব যার মাধ্যমে সাধারন স্বাস্থবিধি মেনে কোভিড ১৯ এর ঝুকি অনেকাংশেই কমানো সম্ভব।

প্রকল্পটি ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের দুটি বড় হাটে (বিবিরহাট ও সাগরিকা) বাস্তবায়িত হচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র অন্যান্য হাটগুলিকেও বিধিবিধান অনুসরণ করার জন্য একটি আদেশ জানিয়েছিলেন। এছাড়াও, মডিউলটি ইটখোলা বাজার, মাগুরা পৌরসভাতে প্রয়োগ করা হচ্ছে।

XS
SM
MD
LG