মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ফের পর্যালোচনা করা হবে সরকারি সিদ্ধান্তের একদিন পর প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পাদক পরিষদের নৈতিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। একই সঙ্গে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকারও সমালোচনা করেছেন।
রোববার সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিন মন্ত্রী আনিসুল হক, হাসানুল হক ইনু ও মোস্তফা জব্বার জানিয়েছিলেনÑ যে ৯টি ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদ আপত্তি তুলেছে তা মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হবে।
সোমবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ জয় সরাসরি বলেছেন, সম্পাদক পরিষদের নৈতিকতা বলে কিছু নেই। তারা এমন একজনকে সম্পাদক করেছে যিনি টেলিভিশনের পর্দায় ভুল স্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেন, বস্তুত সম্পাদক পরিষদ বলতে চায় তাদেরকে সরকারের বিরুদ্ধে নোংরা, মিথ্যা প্রচারণা চালাতে দিতে হবে। সত্য অবলম্বন না করেই তাদের অপছন্দের রাজনীতিকদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে দিতে হবে। তারা যদি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এমন পরিকল্পনা করেন তাহলে দেশের ভবিষ্যত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়? জয় বলেন, যেহেতু গণমাধ্যমের সম্পাদকেরা তাদের নিজেদের তৈরি নৈতিক নির্দেশনাই মানতে রাজি নন, তাহলে আমরা সত্য-মিথ্যা নির্ধারণের ভার আদালতের হাতেই তুলে দেই। সম্পাদক পরিষদ যদি এসব ধারার সংশোধন চান তাহলে তাদের নিজেদের নৈতিকতার নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেসব দূতাবাস এ আইন নিয়ে আপত্তি তুলেছে তাদের প্রসঙ্গে জয় বলেন, তারা যদি হলোকাস্ট ডিনায়াল আইন রাখতে পারেন আমরা কেন একই রকম আইন রাখতে পারবো না। যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা প্রসঙ্গে জয় তার স্ট্যাটাসে বলেন, সে দেশে পুলিশ যদি কাউকে অপরাধমূলক কর্মকা-ের সময় অনলাইনে ট্র্যাক করতে পারে, তাহলে তাকে ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেপ্তার করতে তল্লাশি চালাতে পারে। শুধুমাত্র অপরাধ সংঘটিত হয়ে যাওয়ার পর যদি গ্রেপ্তার বা তল্লাশি চালাতে হয় তখন ওয়ারেন্টের প্রয়োজন পড়ে। অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর ধরা পড়লে কখনোই ওয়ারেন্টের প্রয়োজন হয় না। ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করে এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, এই আইন বাক-স্বাধীনতা দমনে ব্যবহৃত হতে পারে।