বাংলাদেশে সদস্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাম গণতান্ত্রিক জোটের ৮২ জন প্রার্থী জানিয়েছেন, ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচন হয়নি। হয়েছে ভোট ডাকাতি। আগের রাতেই ৩০ থেকে ৪০ ভাগ ব্যালটে সিল দিয়ে বাক্স ভর্তি করা হয়। দিনের চিত্র ছিল অন্যরকম। ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বারন। প্রকাশ্য ভোট দিতে বাধ্য করা। এজেন্টদের বের করে দেয়া। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে শুক্রবার এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী এই গণশুনানিতে প্রার্থীরা নিজ নিজ আসনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। এই শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন বাম জোটের অন্যতম নেতা জোনায়েদ সাকী। তিনি নিজেও ঢাকা-১২ আসনে জোটের প্রার্থী ছিলেন। তার মতে, ইতিহাসের এক নিকৃষ্টতম নির্বাচন। ভোটের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। যেখানে ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি। গায়েবী ভোটে বাক্স ভর্তি করা হয়েছে।
আগামী ১৫ই জানুয়ারি জোট নেতারা এক বৈঠকে মিলিত হয়ে পরবর্তী কার্যক্রম চূড়ান্ত করবেন।
উল্লেখ্য যে, জোটের তরফে আগেই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নয়া নির্বাচনও দাবি করা হয়েছে।