বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন ফের পেছানো হবে কিনা তা বিবেচনা করে দেখবে নির্বাচন কমিশন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচন কমিশন এই আশ্বাস দিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন। বলেছেন, কমিশন তাদরেকে আশ্বস্ত করেছে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
ড. কামাল বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘটিত সংঘর্ষের বিষয়েও কথা বলেন। তার মতে, এটি সরকারি বাহিনীর অতিউৎসাহী কাজ। তিনি বলেন, কমিশন সদস্যরা এ জন্য দু:খ প্রকাশ করেছেন।
ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ সময় বলেন, বিরোধী দলের নির্বাচনে টিকে থাকাটা নির্বাচন কমিশন ও সরকারের আচরণের ওপর নির্ভর করছে। ইভিএম ব্যবহারেও আপত্তি জানিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। কমিশন বলেছে, তারা সিটিগুলোতে সীমিত পরিসরে ব্যবহার করবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন বলেছে, তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে। তবে প্রতি কেন্দ্রে সেনা মোতায়েন করা যায় কিনা তা বিবেচনা করে দেখবে।
ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে কমিশনকে বলা হয়েছে, গণভবনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে। সরকারি ভবনে এই কাজ প্রধানমন্ত্রী করতে পারেন কিনা কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। কমিশন বলেছে, এটি তারা খতিয়ে দেখবে।
ঐক্যফ্রন্ট বের হয়ে আসার পর এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। অপেক্ষমান সাংবাদিকদের এইচ টি ইমাম বলেন, তারা নির্বাচন পেছানোর বিপক্ষে মত দিয়ে এসেছেন কমিশনকে।