বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার গুলশানে একটি জনসভায় বক্তৃতা করেন। নৌকা প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে জনগণকে ধানের শীষে ভোট দেয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। বলেছেন, ধানের শীষ মানে দুর্নীতি। ধানের শীষ মানে ককটেল বোমা হামলা। ধানের শীষ মানে জঙ্গিবাদ, এতিমের টাকা আত্মসাত।
বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের সুযোগ না দিলে মহা সঙ্কটের সৃষ্টি হবে। ভাওতাবাজির নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না।
নারায়ণগঞ্জে ঐক্যফ্রন্টের এক জনসভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতা-কর্মীদেরকে ভোটের আগের রাত থেকেই কেন্দ্র পাহারা দেয়ার আহবান জানিয়েছেন।
চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনের ইশতেহারে বলা হয়েছে, এবার সুষ্ঠু ভোট না হলে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে।
বাম জোটের তরফে বলা হয়েছে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে নাম গন্ধও নেই।
এদিকে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ভোটের উত্তাপ নেই বললেই চলে। দু’একটি ব্যতিক্রম ছাড়া লড়াই বলতে যা বোঝায় তা অনুপস্থিত। পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে গেছে রাজধানীর অলি-গলি। কিন্তু সব দলের নয়। সরকারি দলের প্রার্থীরা ছাড়া অন্য কোন প্রার্থীর খবর নেই। কেউ বাড়িতে বসে প্রচারণা চালানোর চেষ্টা করছেন। কেউ সরব রাজপথে। পুলিশ তৎপর। বিরোধী পক্ষের নড়াচড়া দেখলেই অ্যাকশনে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে ভোটাররা পড়েছেন বিপাকে। তারা কি করবেন? তারা কি ভোটকেন্দ্রে নিরাপদে যেতে পারবেন? এই প্রশ্ন সর্বত্র। অনেকে অবশ্য বলছেন, সেনাবাহিনী নামলে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে। ২৪শে ডিসেম্বর থেকে সেনা মোতায়েন করার কথা রয়েছে। রাজধানীতে আসন রয়েছে ১৮টি। এর মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের ১ জন প্রার্থী প্রায় ৩শ’ মামলা মাথায় নিয়ে আত্মগোপনে।