সবার অংশগ্রহণে একটি বিশ্বাসযোগ্য, স্বচ্ছ এবং সত্যিকারের নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ইউরোপীয় দেশগুলোর কূটনীতিকরা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর দিন সোমবার এক যুক্ত বিবৃতিতে ঢাকায় দায়িত্বরত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা এ আহবান জানিয়ে বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়াটি এমন হতে হবে যাতে জনগণের মতামতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটে।
বিবৃতিতে ইইউ জোটভূক্ত ৮টি মিশনের শীর্ষ কূটনীতিক ছাড়াও নরওয়ে এবং সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত স্বাক্ষর করেন। কূটনীতিকরা গণতান্ত্রিক দায়িত্ব পালন ও নির্বাচনী সহিংসতা থেকে বিরত থাকার জন্য সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহবান জানান। পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে কঠোরভাবে আইন মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের সমালোচনামূলক পর্যবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
ওদিকে বিরোধী জোটের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা এ বিষয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্ট আদেশ দেবে। প্রার্থিতা ফিরে পেতে খালেদা জিয়ার করা রিটের শুনানি পর্যবেক্ষণ করতে সোমবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এরিনি মারিয়া। তিনটি আসনে খালেদা জিয়া মনোনয়ন জমা দিলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা তা বাতিল করে দেন। নির্বাচন কমিশনের আপিলেও ৪-১ বিভক্ত রায়ে হেরে যান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।