বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি রোববারের সংসদ নির্বাচনকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। বলেছে- এ ফল গ্রহণযোগ্য নয়, বাস্তবতা বিবর্জিত। ভোটের রাজনীতিতে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় বলেও বর্ণনা করেছে। সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রতিক্রিয়া জানান। বলেন, এই ফল বাতিল করে নয়া নির্বাচন দিতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১৪ সনে নির্বাচন বর্জন করা যে সঠিক ছিল এখন তা প্রমাণিত হয়েছে। তার ভাষায়, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কখনো অবাধ ও নিরপেক্ষ হতে পারে না। নির্বাচনের ফলাফলে বিস্ময় প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ঘুনাক্সক্ষরেও বুঝতে পারিনি এমন হবে। আমরা আগের রাতেই খবর পাচ্ছিলাম ব্যালটে সিল দেয়ার। দিনের বেলায়ও তাই ঘটেছে। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগেও সন্ত্রাস হয়েছে। প্রার্থীদের বাড়ি-ঘরে হামলা হয়েছে। নির্বাচনের পরেও এই অবস্থা অব্যাহত রয়েছে।
শপথ নেবেন কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা তো নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছি। স্থায়ী কমিটির পর ২০ দলীয় জোট নেতারাও বৈঠকে মিলিত হয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন।
নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক মিনাক্ষী গাঙ্গুলি। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন ও বিরোধীদের এজেন্ট দেয়ায় বিধি-নিষেধ থাকায় নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এক বিবৃতিতে নির্বাচন ও তার ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে।
ওদিকে আড়াইহাজার, কক্সবাজার, সিরাজদিখান, রূপগঞ্জ ও ঝিনাইদহে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে দলটির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে।